
অনেক ছোট বয়স থেকে সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। শ্রুতি নাটকেও তাঁর অবদান ভোলার না। সেক্সি, যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলা সিনেমার ‘বিন্দু মাসি’। তাঁর ১৮-১৯ বছর বয়স ছিল যখন, ইন্ডাস্ট্রির ‘পলিটিক্স’ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না অনামিকা। সেই সময় অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্য়ায়ের বাবা অভিনেতা এবং চিকিৎসক শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় অনামিকা সম্পর্কে এমন এক মন্তব্য করেছিলেন, যা তাঁর শুনতে ভাল লাগেনি। কী ছিল সেই মন্তব্য?
এক ইউটিউব চ্য়ানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনামিকা বলেছিলেন, শুভেন্দু নাকি বলেছিলেন, “এখন ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বেনো জল ঢুকে গিয়েছে। চট্টোপাধ্য়ায়, বন্দ্যোপাধ্যায়দের মাঝে সাহা-রাও এসে গিয়েছে…” নাম না করেই অনামিকা সাহাকে তিনি আক্রমণ করেছিলেন। সেই শুভেন্দুই পরবর্তীকালে অনামিকার অভিনয় দেখে অভিভূত হয়েছিলেন। জানিয়েছেন অনামিকা নিজেই।
অনামিকা সেই অভিনেত্রী যিনি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার সময় নিজের শরীরটাকে ভেঙে ছিলেন পুরোপুরি। অতীতে TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনামিকা বলেছিলেন, “আমাকে অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন পান্তা ভাত, ঘি ভাত খেয়ে দুপুরে ভাত ঘুম দিতে। তা হলে আমার শরীরটা ভারী হবে।” এই ভাবে তন্বী থেকে নিজেকে স্থুলকায় নারীতে রূপান্তরিত করেছিলেন অনামিকা।
তিনি এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালে জমিয়ে অভিনয় করছেন। একদিকে বাংলা সিনেমার ‘বেদের মেয়ের জ্যোৎস্না’র দাপুটে অভিনয়, অন্যদিকে তিনি ‘মায়ের আঁচল’-এর দয়াময়ী মাতৃমূর্তি। রোডিয়োর নাটকের তিনিই আবার সুরেলা নায়িকা। অসম্ভব ভাল কণ্ঠের অধিকারিণী অনামিকা আবার জুহি চাওলাদের মতো বলিউডের নায়িকাদের বাংলায় ডাবিং করেছেন স্বমহিয়ার। একই অঙ্গে কত রূপ। নিঃসন্দেহেই অনামিকা অদ্বিতীয়া!