সম্প্রতি গোটা দেশে পালিত হয়েছে শিবরাত্রি। সদ্য বিয়ে করেছেন অভিনেত্রী শ্রীয়ময়ী চট্টরাজ। তিনি বিয়ে করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। কাঞ্চনের তৃতীয় বিয়ে, তাঁর ডিভোর্স, তাঁর চেহারা নিয়ে নানাবিধ আলোচনা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। শ্রীময়ী চট্টরাজকেও কম ট্রোল করা হয়নি। তার উপর সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে শ্রীময়ী-কাঞ্চনের রিসেপশন পার্টিকে কেন্দ্র করে। ৬ মার্চ (২০২৪) আয়োজিত সেই রিসেপশন পার্টিতে ঢোকার মুখে বড়-বড় করে ইংরেজি হরফে লেখা ছিল: ‘Please! Press And Personal Securities And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted’ (যার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, “প্লিজ়! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ…”)।
এই ঘটনার পর নেটমাধ্যমে ধিক্কার জানানো হয়েছিল কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে। সাফাই দিয়েছিলেন কাঞ্চন। বলেছিলেন, বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান যেখানে হয়েছিল, সেই মধ্য কলকাতার ‘গ্যালারিয়া ১৯১০’ ব্যাঙ্কোয়েট হলে নাকি সাংবাদিক, ড্রাইভার, নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কোয়েট হলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বলেন, “এমন কোনও নির্দেশ তাঁদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি”। বিষয়টিকে ধিক্কার জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষী রাম সিং এবং ড্রাইভার বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যাগ। এই সমালোচনার মুখেই অষ্টমঙ্গলে যান শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিক এবং শিবরাত্রিও করেন। শিবরাত্রির দিন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কাঞ্চন মল্লিক খাটের উপর শুয়ে আছেন। শ্রীময়ী তাঁকে বলছেন, “আমাকে কি রাত জাগতে হবে? আমি তো শিব পেয়ে গিয়েছি।”
রাতে বিছানার উপর শুয়ে মোবাইল দেখতে-দেখতে কী করছিলেন কাঞ্চন, জানতে চেয়েছিলেন অভিনেতা-বিধায়কের স্ত্রী শ্রীময়ী। জবাবদিহি করে বলেছিলেন, “আমি নেটফ্লিক্স দেখছি। তুমি শুয়ে পড়ো।”