বাংলা সিরিয়াল এবং সিনেমায় তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তাঁর নাম সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। আনন্দ করে বাঁচতে ভালবাসেন তিনি। অত্যন্ত স্পষ্টবাদী। মনের কথা মুখ পর্যন্ত চলে আসে তাঁর। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ এসে একবার জীবনের একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেছিলেন সুভদ্রা। জানিয়েছিলেন, ছেলের কারণে কতখানি বিপাকে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
পুরুষদের রোজগার জিজ্ঞেস করতে নেই, মহিলাদের জিজ্ঞেস করতে নেই বয়স–এমনটা প্রচলিত কথা। সেই মহিলা যদি অভিনেত্রী হন, তা হলে তো সঠিক বয়স জানাই যাবে না (যদিও কিছু অভিনেত্রী নিজের আসল বয়স গর্বের সঙ্গে বলেন। তবে সেই সংখ্যা হাতে গোনা)। সুভদ্রা অভিনেত্রী। তিনিও চান না তাঁর বয়স সকলে জেনে যাক। এক পুত্র এবং এক কন্যার জননী তিনি। অভিনেত্রী হওয়ার সুবাদে মানুষের নজর আকর্ষণ করেন সব জায়গাতেই। এক অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে সেরকমই নজর আকর্ষণ করেছিলেন সুভদ্রা। একদল যুবক তাঁর দিকে মুগ্ধ নয়নে চেয়েছিলেন। সুসজ্জিত সুভদ্রা তা অনুভব করছিলেন। হঠাৎই ছন্দপতন ঘটে পুত্রের আগমনে। যুবকদের সামনেই সুভদ্রাকে হেরে গলায় ‘মা’ ডাকতে শুরু করেন তিনি।
শোয়ের সঞ্চালিকা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (তিনি এখন হুগলীর সাংসদও) হাসতে-হাসতে সুভদ্রা বলেছিলেন, “মাথাটা ভীষণ গরম হয়ে গিয়েছিল আমার। ছেলেকে বলেছিলাম, ‘কে তোমার মা? তোমার মা তো এখানে নেই। ওই দিকে দাঁড়িয়ে আছেন’।” ক্ষান্ত হয়নি পুত্র। ফের বলে বসেন, “তুমিই তো আমার মা।” সুভদ্রা রচনাকে বলেছিলেন, “ভাব! অনুষ্ঠান বাড়িতে আমার মনে হয়েছিল, এখনও আমার দর আছে। ছেলে এসে সবটা ভেস্তে দিল। ভাল লাগে বল।”
তাঁর মনের এক ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন সুভদ্রা। তিনি বলেছিলেন, “আমার ছেলের বিয়েতে শর্ত চাপিয়েছি। বলেছি, লাল রঙের বেনারসী পরে, নাকে নথ ঝুলিয়ে হেব্বি নাচব। এবং আমাকে সেটা করতে দিতেই হবে।”