
২৬ জুলাই ছিল অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর বিবাহবার্ষিকী। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে স্বামী অতনু হাজরার সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। অতনু পেশায় একজন টেকনিশিয়ান। একমাসের আলাপে অতনুকে বিয়ে করেন অপরাজিতা। তারপর তাঁদের সুখের সংসার শুরু হয়।
অপরাজিতা জানিয়েছেন, ২৬ জুন অতনুর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবার দেখে তাঁর মনে হয়েছিল, এটাই তাঁর জন্য আদর্শ বাড়ি। অপরাজিতা বলেছিলেন, “এটাই আমার জীবনের সেরা ঠিকানা। এই বাড়ি দেখে একমাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এখানেই বিয়ে করব। এমনটা মনে হওয়ার কারণ ছিলেন আমার শাশুড়িমা। জীবনে আমি যা-যা করতে চেয়েছি আর যা-যা হতে পেরেছি, সব আমার শাশুড়িমা এবং এই পরিবারের জন্য।”
অপরাজিতার ঠিক কী মনে হয়েছিল? অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমার মনে হয়েছিল, হাওড়ার বাড়িতে যা পাইনি, তা পেতে পারি আমার বেহালার শ্বশুরবাড়িতে। হলও তাই। বিয়ে করে আমি স্বাধীন হলাম। আমি বাবাকে ছাড়া থাকতে পারতাম না। বাবা ছিলেন আমার মা। বাবার মৃত্যুর পর আমি হতাশায় ডুবে গিয়েছিলাম। জীবনশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম।”
হাওড়া থেকে বেহালায় বিয়ে করে এসে অপরাজিতা চাঁদ পেয়েছিলেন হাতে। মায়ের মতো শাশুড়ি সবদিক খেয়াল রাখতেন অভিনেত্রীর। আজও তিনি অপরাজিতার জগৎ। অভিনেত্রীকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন তিনি। অপরাজিতাও তাই। নিউক্লিয়ার পরিবারে অভ্যস্থ দুনিয়ায় অপরাজিতাকে মুক্ত বাতাস এনে দিয়েছে তাঁর এই একান্নবর্তী পরিবারই। তাঁকে পরিপূর্ণ করেছে এই সংসার। তাই হাজার খ্যাতি আসা সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়িতে তাঁর জন্য বরাদ্দ একটি ঘরই হয়ে উঠেছে তাঁর স্বর্গ।