‘পেটের জ্বালায় সোনার মেডেলটা বেঁচে খেয়ে নিই’, বলেন ৮০ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রী

Chhanda Chatterjee: 'টিনের তলোয়ার'-এর জন্য প্রাইজ় নিতে গিয়েছিলেন যেদিন, সেদিনও খাবার জোটেনি অভিনেত্রীর। বাবা-মায়ের কাছে হাত পাততে পারেননি ছন্দা। টালিগঞ্জ থেকে বিডন স্ট্রিট পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতেন তিনি।

'পেটের জ্বালায় সোনার মেডেলটা বেঁচে খেয়ে নিই', বলেন ৮০ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রী
ছন্দা চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Updated on: Jul 01, 2024 | 11:59 AM

বাংলা সিরিয়ালের অতি পরিচিত মুখ ছন্দা চট্টোপাধ্যায়। দজ্জাল মহিলার চরিত্রে তাঁকে মানায় দারুণ। আবার পরম মমতাময়ী হয়েও তিনি অভিনয় করেন। এই ছন্দার জীবন কন্টকাকীর্ণ। ছোট থেকেই তিনি নিজের সঙ্গে লড়াই করছেন। মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে তিনি। কিন্তু তাও বাবা-মায়ের সামনে কোনওদিনও হাত পাতেননি। লজ্জা লাগত অভিনেত্রীর। ফলে কষ্ট করেই পেট চালাতে হয়েছে। টিকে থাকতে হয়েছে এই পেশায়। এক ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, “খুব অভাবে দিন কেটেছে আমার। কোনওদিন খেতে পেয়েছি, কোনওদিন পাইনি। ‘টিনের তলোয়ার’-এর জন্য যেদিন প্রাইজ় নিতে যাচ্ছি, সেদিন আমি কিচ্ছুই খাইনি। গিয়েছিলাম খালি পেটে। বিস্কুট খেয়েছিলাম। রাতে ফেরার সময় চপ-মুড়ি নিয়ে ফিরেছিলাম। আমাদের অবস্থা খারাপ ছিল না। কিন্তু আমি কারও কাছে কিছু চাইতে পারিনি।”

কেরিয়ারের একটা পর্দায় অভিনয়ের জন্য স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন ৮০ ছুঁইছুঁই ছন্দা। কিন্তু সেই মেডেল তিনি নিজের কাছে রাখতে পারেননি। তা তাঁকে বেঁচে দিতে হয়েছে পেটের দায়ে। কান্না ভেজা চোখে ছন্দা সেই ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে টলি টাইমকে বলেছিলেন, “আমি মেডেলটি রাখতে পারিনি। পেটের দায়ে তা আমাকে বেঁচে খেয়ে নিতে হয়েছে। কী আর করব, আমাদের তো জীবনী এই।”

তাও তিনি বাবা-মায়ের কাছে একটাও পয়সা চাননি। হাত পাতবেন না বলে টালিগঞ্জ থেকে বিডন স্ট্রিট হেঁটে গিয়েছেন, হেঁটে ফিরেছেন। বলেন, “তখন আমি খুব বাচ্চা মেয়ে। ৭-৮ বছর বয়স। কতটা হাঁটতাম। কী করে পারতাম কে জানে! এখন ভাবি, কীভাবে পারতাম।”

সাংসারের অনেকটা দায়িত্বই ছন্দার কাঁধে। কিন্তু তাতে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াতেই তাঁর বিশ্বাস। ফলে কোনওদিনও থেমে থাকেনি তাঁর জীবন সংগ্রাম। ছন্দার সাফ কথা, “আমাকে কাজ করতে হবে। আমি কাজটাই করে চলেছি। মনে করি কাজই সব।”