Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মা-বাবাকে সময় দিতে পারেন না কোয়েল! তা নিয়ে কোনও নালিশ আছে বাবা রঞ্জিতের?

Koel Mallick: একটা সময় মেয়েকে সময় দিতে না পেরে রঞ্জিত মল্লিক যে ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন, বাবা-মাকে সময় দিতে না পেরে কোয়েলেরও কি সেই নিরাপত্তাহীনতা হয়? বিষয়টিকে কীভাবে মানিয়ে নেন রঞ্জিত মল্লিক এবং তাঁর স্ত্রী দীপা মল্লিক?

মা-বাবাকে সময় দিতে পারেন না কোয়েল! তা নিয়ে কোনও নালিশ আছে বাবা রঞ্জিতের?
বাবা-মেয়ে কোয়েল মল্লিক এবং রঞ্জিত মল্লিক।
Follow Us:
| Updated on: Jun 21, 2024 | 12:04 PM

টলিউড অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক যখন ছোট ছিলেন, তাঁর বাবা অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক সিনেমার কাজে ভীষণ ব্যস্ত থাকতেন। সময় দিতে পারতেন না মেয়েকে। যতটুকু সময় মেয়ের কাছে তিনি থাকতেন, ততটুকু সময় তাঁকে কাঁদাতেন তিনি। তা নিয়ে একবার একটি টকশোতে খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। পাশে বসে থাকা বাবা রঞ্জিত মল্লিক মিটিমিটি হেসেছিলেন মেয়ের কথা শুনে। রঞ্জিতের বক্তব্য ছিল–মেয়েকে কাছে পাচ্ছেন না, সে কি বাবাকে ভুলে যাচ্ছে? সেটা দেখার জন্যই কোয়েলকে নানারকম কথা বলে কাঁদিয়ে দিতেন রঞ্জিত। বয়স হয়েছে রঞ্জিত মল্লিকের। এখন সেইভাবে আর অভিনয় করেন না তিনি। খুব বেছে কাজ করেন। তুলনায় কোয়েল এখন অনেকবেশি ব্যস্ত তাঁর ছবির কাজ এবং সংসার নিয়ে। একটা সময় মেয়েকে সময় দিতে না পেরে রঞ্জিত মল্লিক যে ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন, বাবা-মাকে সময় দিতে না পেরে কোয়েলেরও কি সেই নিরাপত্তাহীনতা হয়? বিষয়টিকে কীভাবে মানিয়ে নেন রঞ্জিত মল্লিক এবং তাঁর স্ত্রী দীপা মল্লিক?

প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা হয়েছিল প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের টকশো ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’তে। কোয়েল মল্লিক এবং রঞ্জিত মল্লিক এসেছিলেন সেই টকশোতে। রঞ্জিত মল্লিক যা বলেছিলেন, তার সারমর্ম এই, “সময় দিতে পারতাম না। এখন আমার মেয়ে সময় দিতে পারে না অনেকক্ষেত্রে। বিষয়টা আমাদের মানিয়ে নিতে হয়। বুঝতে হয় যে ও ব্যস্ত আছে।”

কন্যা কোয়েল সম্পর্কে নানা সাক্ষাৎকারে নানা কথা বলেছেন রঞ্জিত মল্লিক। সেগুলো একটাও নেতিবাচক কথা নয়। রঞ্জিত এবং তাঁর স্ত্রী দীপা মল্লিক চিরটাকালই কন্যাকে নিয়ে ভীষণ গর্বিত। রঞ্জিত একটা কথা বারবার বলেন, “কোয়েলকে সন্তান হিসেবে পেয়ে পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। ওর মতো সন্তান পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ও নিজে যেমন নিজের যত্ন নিতে পারে, ঠিক তেমনই ও অপরেরও যত্ন নিতে পারে। সবাইকে ভাল রেখে চলতে পারে আমার মেয়ে। ওর ব্যাপারে আমার কোনও নালিশ নেই। বরং আমি এবং আমার স্ত্রী ভগবানের কাছে কৃতজ্ঞ যে, অমন সন্তান পেয়েছি।”