Anupam-Piya: ‘সবাইকে খুশি করা যায় না,’ পরমব্রতর সঙ্গে বিয়ের পর কেন বললেন পিয়া

Anupam-Piya Marriage: শেষমেশ অনুপম রায়ের গানের কথাই সত্যি হয়েছে তাঁর জীবনে। তিনি লিখেছিলেন, 'তুমি অন্য কারও সঙ্গে বেঁধো ঘর'। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী সত্যি-সত্যি অন্য কারও সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এবং তিনি ঘর বেঁধেছেন অনুপমের একসময়ের বন্ধু পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। পিয়া-পরমের বিয়ের পর তাঁদের নিয়ে তো বটেই, অনুপম রায়কে নিয়েও উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে যতই যা ঘটুক না কেন, অনুপম রায় যে তাঁর ‘অতীত’, তা TV9 বাংলার কাছে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন পিয়া চক্রবর্তী।

Anupam-Piya: 'সবাইকে খুশি করা যায় না,' পরমব্রতর সঙ্গে বিয়ের পর কেন বললেন পিয়া
পিয়া এবং অনুপম।
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2024 | 12:50 PM

শেষমেশ অনুপম রায়ের গানের কথাই সত্যি হয়েছে তাঁর জীবনে। তিনি লিখেছিলেন, ‘তুমি অন্য কারও সঙ্গে বেঁধো ঘর’। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী সত্যি-সত্যি অন্য কারও সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এবং তিনি ঘর বেঁধেছেন অনুপমের একসময়ের বন্ধু পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে (অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক)। পিয়া-পরমের বিয়ের (চলতি বছরে ২৭ নভেম্বর বিয়ে করেন তাঁরা) পর তাঁদের নিয়ে তো বটেই, অনুপম রায়কে নিয়েও উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে যতই যা ঘটুক না কেন, অনুপম রায় যে তাঁর ‘অতীত’, তা TV9 বাংলার কাছে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন পিয়া চক্রবর্তী।

পিয়া-পরমের বিয়ের পর অনুপম তাঁর বাবা-মাকে নিয়ে ভাইজ়্যাকের সমুদ্রে ‘শান্তি’ খুঁজেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছুদিন দূরে ছিলেন তিনি। পিয়া-পরমের বিয়ের দিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল TV9 বাংলা। “ভাল আছি”, এই কথা বলার পরই পিয়ার বিয়ের প্রসঙ্গে ঝাঁঝিয়ে উঠেন অনুপম, “এ সবের মধ্য়ে আমার নাম একদম লিখবেন না।” এ দিকে, অনুপমের রচিত এবং গাওয়া গানগুলোর লাইন বারবারই সোশ্য়াল মিডিয়ার পর্দায় ভেসে-ভেসে আসে, সঙ্গে তৈরি হয় মিম। নিজের এবং পরমব্রতর প্রতি কটাক্ষকেও যেমন অপছন্দ পিয়ার, ঠিক একই ভাবে অনুপমকে নিয়ে ট্রোলিংও ভাল লাগেনি তাঁর। পিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “আমার এবং অনুপমের সম্পর্ক অতীতের। আমাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে গেলেও, চিরকালই একে-অপরের শুভাকাঙ্খী থাকব আমরা।”

বিয়ের পরদিনই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পিয়া, কিডনিতে ৪ মিলিমিটারের একটি পাথর ছিল তাঁর। নতুন জীবনের সূচনার আগে সেই পাথরটিকে টেনে বের করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিডনিতে একটি স্টেন্ট-ও বসেছে তাঁর। সেই স্টেন্ট নিয়েই ডাবলিনে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন পিয়া। যদিও এই স্টেন্টের কারণেই তাঁকে শারীরিক সাবধানতা বজায় রাখতে হয়েছে প্রতিমুহূর্তেই। চলতি সপ্তাহের শেষে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেই স্টেন্ট সরাবেন পিয়া, জানিয়েছেন TV9 বাংলাকে।

সমাজসেবী-গায়িকা তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে চারদিকে এত আলোচনা দেখে অবাক হয়েছেন। সাফ বলেছেন, “আমার নিজের ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টায় একটু রাগ হয়েছে। তবে এ কথাও সত্যি, ট্রোলিং বিষয়টা ক্ষণস্থায়ী। এ সবের ইমপ্যাক্ট কিংবা আয়ু খুবই কম। আর সত্যি বলতে কী, এসবের সঙ্গে আমার নিজের জীবনের কোনও যোগ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার নিজস্ব ইকোসিস্টেম আছে। সেটাকে মান্যতা দেওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি না। এটা বাইরের জগৎ। আমার পরিবার-প্রিয়জন এবং বন্ধুরা কী ভাবছেন, তা নিয়ে আমি ভাবিত বেশি। কিন্তু গোটা পৃথিবী কী ভাবল, তা নিয়ে আমার একবিন্দুও মাথা ব্যথা নেই। আরও বড় সত্যি হল, পৃথিবীতে সবাইকে খুশি করা যায় না। ফলে বিষয়গুলো থেকে শুরু থেকেই দূরে ছিলাম এবং থাকবও।”

এদিকে এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিন পরমব্রত সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিয়ের পর তিনি এবং পিয়া খুবই অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কটাক্ষের বন্যা দেখে তিনি খানিক অবাক হয়েছেন। এটাও জানিয়েছিলেন যে, তিনি ট্রোলিং ফলো করে না। মধুচন্দ্রিমায় ডাবলিন বেড়াতে গিয়েছিলেন পিয়ার সঙ্গে। সময়টা ভাল কেটেছে বলে জানিয়েছিলেন সেই কথাও।

এতদিন টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে এলিজিবল ব্যাচেলর ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্য়ায়। সেই পরম স্বামী হিসেবে কেমন তা-ও খোলসা করে বলেছেন পিয়া। তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয় এটা জানার জন্য আমাকে একটু সময় দেওয়া উচিত সকলের। সবে মাত্র বিয়ে হয়েছে তো। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে নিজেরাও ততটা বিশ্লেষণে যাইনি আমরা। সবে হয়েছে তো। তবে একটা কথাই বলব, আমি এবং পরম আগে ভাল বন্ধু। সেটাই সম্পর্কে দরকার প্রাথমিকভাবে। পরমের সম্পর্কে এখন কেবল বলতে চাই, ও খুব সাপোর্টিভ।”