
কেন এমন এক মন্তব্য ‘দ্য বং গাই’-এর? হঠাৎ কীসের ভয় পাচ্ছেন বাংলার জনপ্রিয়তম ইউটিউবার? সেই কমেন্টের নীচে তাঁর প্রেমিকা অন্তরা নয়না রায় মজুমদার আবার লিখেছেন, “অ্যারেস্ট? ডিরেক্ট ‘তুলে নিয়ে যাবো’ বলে! কোথায় নিয়ে যাবে সেটাও বলে না।” বিষয়টা এবার খোলসা করে বলা যাক।
দিন দুই আগে কিরণ দত্ত তাঁর ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে লেখা, “সাউথের (দক্ষিণ ভারত) অভিনেতা বিজয় থালাপাতি রাজনীতি করবেন বলে অভিনয় থেকে অবসর নিলেন। আর আমাদেরগুলো সব জনি সিনস ()। একই সঙ্গে অভিনয়, রাজনীতি, ব্যবসা, বেসুরো গান, টিকটক, ইউটিউবসহ একাধিক শিল্পে পারদর্শী।” নিজের এহেন পোস্টটিকে ‘জোক’ বলেও টিপন্নি কেটেছেন কিরণ। জনি সিনসের নাম নিয়ে পরোক্ষে এক আমেরিকান পর্নোগ্রাফি নায়কের সঙ্গে বাংলার অভিনেতা-রাজনীতিকদের তুলনা করেছেন কিরণ। এহেন মন্তব্য করার জন্যই কি ভয়ে পেয়েছেন তিনি?
কে জনি সিনস? তিনি আমেরিকার জনপ্রিয় পর্ন-স্টার। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক এবং ইউটিউবারও। কেশহীন মাথা, পেশীবহুল দেহ এবং নীল চোখের জনির জনপ্রিয়তা বিপুল। গুগলে পুরুষ পর্নোগ্রাফি স্টার হিসেবে সবচেয়ে বেশি সার্চড হয় তাঁর নাম। নানা পুরস্কারও পেয়েছেন জনি। তাঁকে নিয়ে তৈরি হয় একাধিক মিমও। কিন্তু জনি সিনস তাঁর আসল নাম নয়। তাঁর পিতৃদত্ত নাম স্টিভেন উল্ফ। ছোটবেলায় ভীষণই লাজুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন স্টিভেন। পেনসিলভেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করে নীল ছবির জগতে চলে আসেন। ২৪ বছর বয়সে মাথায় সম্পূর্ণ টাক পড়ে যায়। সেই থেকে মাথা ন্যাড়া করে ঘুরে বেড়ান। ২৮ বছর বয়সে চাকরি ছেড়ে পর্নোগ্রাফি ছবিতে কাজ করতে শুরু করেন পুরোমাত্রায়। নাম পাল্টে রাখেন জনি সিনস।
এই জনি সিনসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা-রাজনীতিকদের তুলনা টেনেই কি ‘ভয়’ পাচ্ছেন কিরণ? কিন্তু তাঁর পোস্টে ইউটিউবারকে আশ্বস্ত করেছেন তাঁর অনুগামীরা। লিখেছেন, “কোনও চাপ নেই দাদা, কারও নাম তো বলোনি।” একজন লিখেছেন, “পারবে না আটকাতে, তোমার নামে দম আছে।” এই সমস্ত কমেন্ট দেখে কিরণ ফের কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, “আমার আর এক জ্বালা, আমি সব রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে খিল্লি করি। তাই এক দল মারতে আসলে অন্য কোনও দল বাঁচাতে আসবে না। তোমরাই আমার সব। তাই প্লিজ় জেলের সামনে ধরনা দিও।”