
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পরিচালক দেবাংশু সেনগুপ্ত তাঁকে ধরেবেঁধে নিয়ে গিয়েছিলেন জোছন দোস্তিদারের কাছে। জোছন দোস্তিদার অন্যতম সিরিয়াল নির্মাতা। সেখানে গিয়েই অভিনয় করার সুযোগ ঘটে অভিনেত্রী লাবণী সরকারের। কপাল খুলে যায় তাঁর। উদারপন্থী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন লাবণী রক্ষণশীলতার লেশমাত্র ছিল না পরিবারে। ওই ছোট বয়সেই শাবানা আজ়মিদের সঙ্গে অপর্ণা সেনের পরিচালনায় ‘সতী’ ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন লাবণী। এক টকশোতে এসে অতীতের সেই সুবর্ণ সময়টার কথা বলতে গিয়ে চোখ চিকচিক করে উঠেছিল অভিনেত্রীর। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ছবির নায়িকার চরিত্রটাই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল লাবণীর। অভিনেত্রী বলেছিলেন, “বাবা চাননি বলেই কাজটা আমার করা হল না”। কোন ছবি ছিল সেটি? কী ছিল সেই ছবিতে লাবণীর চরিত্র?
লাবণী সরকার অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন ‘সিটি অফ জয়’ ছবিতে। ১৯৯২ সালে মুক্তি প্রায় ছবিটি। দেশ-বিদেশের নানা নামী তারকা অভিনয় করেছিলেন সেই ছবিতে। সুযোগ আসে লাবণীর কাছেও। কিন্তু অ্যাডাল্ট দৃশ্য থাকার কারণে সেই ছবি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। লাবণী বলেছিলেন, “ছবির হিরো অভিনেতা প্যাট্রিকের সঙ্গে আমার বাথ টাবে একটি অ্যাডাল্ট দৃশ্য ছিল। সেটার কথা জানতে পেরে সেই ছবি থেকে আমাকে সরে আসতে বলেছিলেন বাবা। তিনি আমাকে মানা করেছিলেন এমন দৃশ্যে অভিনয় করতে।”
বাবার কথা বলতে-বলতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। লাবণী বলেছিলেন, “আমার বাবা সেদিন আমাকে ডেকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে তো কোনও কিছুতেই বাধা দিইনি আমি। একটাই অনুরোধ করতে চাই। এই দৃশ্যটা আছে বলেই তুমি এই ছবিটা কোরো না। এটা তোমার কাছে আমার অনুরোধ। বাবা হয়ে এমন দৃশ্যে তোমার অভিনয় আমি দেখতে পারব না।”
বাবাকে অসম্ভব ভালবাসতেন লাবণী। তাঁর এই ছোট্ট ইচ্ছেপূরণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে তিনি। ছবির পরিচালককে জানিয়ে দেন বিষয়টা। সরে এসেছিলেন সেই ছবি থেকে। পরবর্তীতে লাবণীর ফেলে আসা চরিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন সুনীতা সেনগুপ্ত।