AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টলিউডে আত্মহত্যার চেষ্টা! প্রকাশ্যে নারীকণ্ঠের চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ, কাঠগড়ায় কে?

ফেডারেশন ও হেয়ার ড্রেসার গিল্ডের যুগ্ম ষড়যন্ত্রে কাজ হারাচ্ছেন তিনি। আর পারছেন না, হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন-- শনিবার যখন মধ্যরাত, তখন আচমকাই এমনই এক বিস্ফোরক চিঠি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, ভাইরাল হয় এক অডিয়ো ক্লিপও।

টলিউডে আত্মহত্যার চেষ্টা! প্রকাশ্যে নারীকণ্ঠের চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ, কাঠগড়ায় কে?
প্রকাশ্যে নারীকণ্ঠের চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ
| Updated on: Sep 22, 2024 | 8:11 PM
Share

ফেডারেশন ও হেয়ার ড্রেসার গিল্ডের যুগ্ম ষড়যন্ত্রে কাজ হারাচ্ছেন তিনি। আর পারছেন না, হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন– শনিবার যখন মধ্যরাত, তখন আচমকাই এমনই এক বিস্ফোরক চিঠি ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, ভাইরাল হয় এক অডিয়ো ক্লিপও। অডিয়ো ক্লিপের মধ্যের নারীকণ্ঠকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এমনকি এরপর আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলেই–দাবি করা হয় সেই মহিলা কণ্ঠের তরফে। ঘনিষ্ঠ সূত্র ও একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, মহিলা কণ্ঠ ও চিঠির মালিক টলিপাড়ার এক হেয়ারড্রেসার ওরফে কেশসজ্জা শিল্পী। শনিবার রাতে গায়ে আগুন লাগিয়ে যার আত্মহত্যার চেষ্টার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। দায়ের হয়েছে এফআইআর। শুধু তাই নয়, আরও একবার টলিউডের বিভিন্ন গিল্ডের মতবিরোধের ছবিটিও ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবে। ফেডারেশনের উপর তোপ দেগেছে পরিচালকদের গিল্ড। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছে, বিষয়টি ‘সুরক্ষা বন্ধু’ কমিটি দেখছে। ওদিকে ভাইরাল ওই অডিয়ো ক্লিপে নারীকণ্ঠের তরফে যা যা শোনা গিয়েছে তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। (ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি টিভিনাইন বাংলা)

অডিয়ো ক্লিপে যা শোনা গিয়েছে তা তুলে ধরা হল…

“আমি ****(নিজের নাম) বলছি, তোমরা জানো, আমাকে তিন মাস সাসপেন্ড করে গিল্ড। জানি না আমি কী করেছি, তাও আমি অন্যায় স্বীকার করে এই তিন মাস ঘরে বসে থেকেছি। এই তিন মাসে আমার প্রচুর দেনা হয়ে গিয়েছে। আমার বাড়ির লোন চলে। আমার বর অসুস্থ। আমার মেয়ের পড়াশোনা (কান্নায় গলা বুজে আসে…)। এর আগে দু’টো কাজ ধরেছিলাম আমি। কিন্তু সেক্রেটারি করতে দেয়নি। আমাকে বলা হয় নিজে কাজ ধরে কাজ করতে পারবে না। আমি ফোন করি। কিন্তু তাও আমাকে বলা হয় নিজে থেকে কোনও কাজ করা যাবে না। আমার আগামীকাল থেকে নতুন কাজ শুরু। আজ হঠাৎ ম্যানেজার আমাকে ফোন করে বলছে, ওই কাজ করতে পারবে না। গিল্ড থেকে ফেডারেশনকে জানিয়েছে। আমাকেও এও বলা হয়, গিল্ড থেকে বলা হয়েছে আমাকে যেন কোনও কাজে না নেওয়া হয়। গিল্ড থেকে যা কাজ দেওয়া হবে তাই আমাকে করতে হবে। এবার তোমরা বল আমি কী করব? আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। বাজারে অনেক দেনা হয়ে গিয়েছে। ওই এক শিফট কাজ করে আমার দেনা মিটবে না। এরপর তো আমাকে সুইসাইড করা ছাড়া আর উপায় নেই। অনেক কাকুতিমিনতি করেছি। কিন্তু কোনও বিচার নেই। যদি কিছু করি তার জন্য দায়ী এই কমিটির লোকেরাই হবে।”

প্রসঙ্গত, আত্মহত্যার চেষ্টার পর তড়িঘড়ি ওই হেয়ারড্রেসারকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। পরিবার সূত্রের খবর, আগের থেকে একটু ভাল আছেন তিনি। সব ঠিক থাকলে দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ারও চেষ্টা করবেন কেশসজ্জা শিল্পী।