
বুধবার থেকেই সিনেপাড়ার কর্মীদের কপালে নয়া চিন্তার ভাঁজ দেখা যায়। যেখানে বাংলার সিঙ্গল স্ক্রিনকে বাঁচিয়ে রাখার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলা ছবিরই জায়গা হচ্ছে না! তাই টলিপাড়ার পরিচালক, প্রযোজক, ডিস্ট্রিবিউটারদের দাবি, হিন্দি ছবির পাশাপাশি বাংলা ছবিকেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। বৃহস্পতিবার নন্দনে এই মর্মে হয়ে গেল বৈঠক। ৭ অগাস্টের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ৬ অগাস্টই প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবির শো বাড়ানোর দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়, দেব, প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, প্রযোজন নিশপাল সিং রানে, পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় আর পরিচালক অভিনেতা সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সেই মর্মেই আজকের বৈঠক। যে আলোচনায় উঠে এল একাধিক বিষয়। যার মধ্যে অন্যতম হল, বাংলা ছবির শোয়ের সংখ্যা।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার একাধিক প্রথম সারির তারকারা। অভিনেতা-সাংসদ দেবের আগামী ছবির ‘ধূমকেতু’র সঙ্গেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘ওয়ার ২’। আর সিঙ্গল স্ক্রিন এখন সেই ছবির দিকেই খানিক ঝুঁকে। শোনা যাচ্ছে, ওয়ার ২-র ডিস্ট্রিবিউটরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিঙ্গল স্ক্রিনে ওয়ার ২ চালালে, প্রতিটা শো-ই দিতে হবে এই ছবিকে। ফলে বাংলা ছবির জায়গা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। আর বাংলার বুকে বসে বাংলা ছবির এই পরিস্থিতি দেখে তড়িঘড়ি মাঠে নামলেন তারকারা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে অভিনেতা-সাংসদ দেব বললেন, ‘বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বাংলা ছবিকে প্রাইমটাইম দিতে হবে এবং প্রতিটা প্রেক্ষাগৃহকে বাংলা ছবি চালাতে হবে। আমরা ৫০ শতাংশ শোয়ের কথা বলেছি। অর্থাৎ ধূমকেতু প্রতিটা প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পাবে। মাল্টিপ্লেক্সে কোনওদিন সমস্যা হয় না। ৫-৬টা স্ক্রিন থাকে।’
পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। তিনি বললেন, ‘অরূপদা বিষয়টা দেখছেন, এবং অনেকটাই সমাধানের দিকে এগোনো গিয়েছে। সেটা সঠিকভাবে প্রতিফলিত হলে দেখতে পাব, এবং অবশ্যই খুশি হব। উনি একটা মতামত দিয়েছেন, আমরা সকলেই সেটার সঙ্গে সহমত পোষণ করে সমাধানের দিকে এগিয়েছি।’