অনীক দত্ত
আমার মনে হয়, এই ঘটনা কলকাতায় হলেও বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নামতেন না। আমি আজই ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছি এবং সেই পোস্টে লিখেছি, “পৃথিবীতে বাংলাই বোধহয় সেই জায়গা যেখানে বুদ্ধিজীবী শব্দটি নোংরা, প্রায় গালাগালির সমান।” এই রাজ্যে বুদ্ধিজীবী শব্দটা শুনলে মানুষ বিশেষ পাত্তা দেন না।
সংবাদ মাধ্যমের উচিত বড়-বড় মাথাদের ধরা। এ রাজ্যে চাকরি-বাকরি নেই। কিন্তু কারও কারও হাতে কোটি কোটি টাকা। আজ বুদ্ধিজীবীরা কই? এসব নিয়ে তো কিছু করতে পারবেন না তাঁরা। ভয় পাবেন। প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের পিএইচডি পাওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করে বলতে বলুন।
রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ মরছে। আগামী দিনে আরও মরবে। কলকাতাতেও তো হচ্ছে। কিছুদিন আগেই একটি মেয়েকে ধরে হ্যারাস করেছে। আস্তে-আস্তে এসবই হবে। লোকে বুঝবে।
এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। রাজ্যের অবস্থা তো খুবই খারাপ। চাকরি নেই, বাকরি নেই। সেখানে এই ধরনের ভায়োলেন্স, এই ধরনের হিংসা তো হবেই, তাই নয় কী!
কী ঘটেছিল?
রণক্ষেত্র রামপুরহাট। সোমবার রামপুরহাটে বোমাবাজিতে ‘খুন’ হন রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। তাঁর বাড়ি বগটুই গ্রামে। তারপর থেকেই সারা রাত ধরে গ্রামে তাণ্ডব চলেছে অভিযোগ। একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বোমাবাজির চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। ‘সন্ত্রাসের’ আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১০ জন। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার রাতেই তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার সকালে আরও সাত জনের। দেহগুলির মধ্যে কোনটি পুরুষ, কোনটি মহিলার… তা বোঝাই দায়।
আরও পড়ুন: Rudranil Ghosh: পুলিশ আজ দলদাস, আইনশৃঙ্খলা দাঁত নখ বার করে বেরিয়ে পড়েছে: বগটুইকাণ্ডে রুদ্রনীল ঘোষ