‘যত জায়গায় প্রচারে বের হবে, তত ওর ভোট কমবে’ অনিকেতের পাল্টা রুদ্রের ‘কুল’ জবাব ‘মাথার যত্ন নিন’
ঘটনাটির ঘটে যাওয়ার দুদিন পরে পোস্টটির মাধ্যমে এক হাত নিলেন পরিচালক অনিকেত। আগেও তিনি ‘সাতে পাঁচে থাকি না’ কবিতার স্রষ্টাকে বিঁধেছিলেন অনিকেত।
গত ২ এপ্রিল বেলা ২টো ১১ মিনিটে রুদ্রনীল ঘোষের পোস্ট করেন এক ভিডিয়ো। ক্যাপশনে লেখেন—‘ভবানীপুরে হারের ভয়ে প্রচারে বাধা তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর, হুমকি, গালাগাল, মারধর। ধিক্কার জানাই কাপুরুষদের। শেষে পুলিশ ঘেরাটোপে প্রচার।এর বদলা নেবেন বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষ ২১শের ভোটেই তা নিশ্চিত।’
আর আজ, পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় সেই ভিডিয়োর এক স্ক্রিনশট পোস্ট করে এক হাত নিলেন ভাবনীপুরের প্রার্থীকে। ক্যাপশনে লিখলেন—‘সাতে পাঁচে দাদা, লাল নীল গেরুয়া রুদ্রনীল জানিয়েছেন ওনাকে ভবানীপুরে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যায়, তীব্র নিন্দা করছি। তৃণমূলের ট্র্যাক রেকর্ড দেখলে, এটা হয়নি, এমনও বলা যায় না। তবে সমস্যা হল, রুদ্র যত জায়গায় প্রচারে বের হবে, তত ওর ভোট কমবে, এটা কি রুদ্র জানে?’
আরও পড়ুন ‘টুম্পা সোনা’ ‘উরি উরি বাবা’ বলে ‘লাল ঝান্ডা’য় এবার ও কী লাগচে!
ঠিক কী ঘটেছিল ২ এপ্রিল?
ভবানীপুরের প্রার্থী রুদ্রনীল ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেন গোপালনগরে নির্বাচনী প্রচারে বেড়িয়ে তৃণমূলের হামলার মুখে পড়েন তিনি। তাঁরা (তৃণমূল হামলাকারী) বলে, যে মানুষের কাছে রুদ্রনীলদের পৌঁছতে দেবে না। রুদ্রনীল আরও বলেন হামলাকারীরা ঝান্ডা, পোস্টার, হোর্ডিং লাগাতে দিচ্ছে না। তা করতে গেলে মারধোর খাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। তিনি পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রুদ্রনীল ঘোষ তাঁর নির্বাচনী প্রচার করেন।
৪ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিয়োতে ১৫,০০০ লাইকের সাড়া মিলেছিল। কেউ ছিলেন রুদ্রনীলের পক্ষে, কেউ বিপক্ষে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একই কথা বলেন রুদ্রনীল। বেশ কিছু ছবিও পোসট করেন ভিডিয়ো পোস্ট করার কিছুক্ষণ পর। ক্যাপশনে লেখেন, ‘ভবানীপুরে পুলিশি ঘেরাটোপে চললো প্রচার। কারণ, রোজ আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা আমায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে বাধা দিচ্ছে। মারধর করছে আমাদের কর্মীদের। কারণ, আমরা পাড়ায় পাড়ায় গেলেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মানুষ জড়ো হচ্ছেন আমাদের পাশে। তাই, হারের ভয়ে, মারধোর ভয় আর হুমকি দিয়ে বন্ধ করতে চাইছেন মানুষের আমাদের কাছে আসাকে। সময় ফুরিয়ে এসেছে। বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষের ভোট দূর্নীতি পরায়ণ তৃণমূল আর পাবে না তা স্পষ্ট। তোমরা যত মারবে, মানুষ তত জাগবে।’
অনিকেতের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে অবগত ছিলেন না রুদ্রনীল। Tv9 বাংলার পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের করার পর তিনি বলেন, “অনিকেতদার জন্য মায়া হচ্ছে। গরম পড়ছে, একটু মাথার যত্ন নিন। সুস্থ তাকুন। আপনার দীর্ঘায়ূ কামনা করি।”
ঘটনাটির ঘটে যাওয়ার দুদিন পরে পোস্টটির মাধ্যমে এক হাত নিলেন পরিচালক অনিকেত। আগেও তিনি ‘সাতে পাঁচে থাকি না’ কবিতার স্রষ্টাকে বিঁধেছিলেন অনিকেত। রুদ্রনীলের কবিতার প্যারোডি করে আরেক কবিতা পোস্ট করেন তিনি। অনিকেত এও বলেন, “কোনও সুস্থ মানুষ বিজেপিতে যোগদান করবে? সুস্থ কোনও বাঙালি বিজেপিতে যায় নাকি? বাঙালিদের সংস্কৃতিতে বিজেপির সঙ্গে?” যদি কখনও দেখা হয়ে যায় রূদ্রনীলের সঙ্গে, এই কবিতা সামনে দাঁড়িয়ে আওড়াতে পারবেন?,“কবিতা নয়, প্রশ্ন করব—ভাই, সাধারণভাবে বেঁচে থাকার জন্য কত পয়সা দরকার?”