রেড ভলিন্টিয়ার্সদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী ও তাঁর বন্ধুরা, তুলে দিলেন স্যানিটাইজার-পিপিই কিট

দুই বন্ধু সোমদত্তা রায় এবং চয়ণ চক্রবর্তীর উদ্যোগের পাশে দাঁড়ালেন অঙ্কিতা-প্রান্তিক। পাশে পেলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক রায়কেও।

রেড ভলিন্টিয়ার্সদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী ও তাঁর বন্ধুরা, তুলে দিলেন স্যানিটাইজার-পিপিই কিট
অঙ্কিতা।
Follow Us:
| Updated on: May 24, 2021 | 3:31 PM

করোনা মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে রেড ভলিন্টিয়ার্স। ফেসবুকে ওয়ালে ভরে যাচ্ছে সাহায্যের ফোন নম্বর। অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে কোথায় মিলবে আইসিইউ বেড, কিংবা রেমডেসিভির, ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন কিছু তরুণ-তরুণী। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, যাঁরা দিনরাত এক করে মানুষের সাহায্যের কাজে হাত লাগিয়েছেন, তাঁদের সাহায্য করছে কি কেউ? সামনের সারি থেকে মানুষের জন্য লড়ছে যাঁরা, তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কি মানুষ? এ ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খেতেই রেড ভলিন্টিয়ার্সদের পাশে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তী এবং প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল, নিয়ামতপুর/কুলটি, রঘুনাথপুর এলাকার সেই মানুষগুলোর জন্য, যাঁরা নিজেদের পরোয়া না করে বহু প্রাণ বাঁচিয়ে তুলছেন, এই ভয়াবহ কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁদের হাতে ১০০ পিপিই কিট (সিম সিল্ড), ৬০ লিটার স্যানিটাইজার, ৪ ব্যাটারি চালিত স্যানিটাইজার মেশিন (১৬ লিটার), ১০০০ ট্রিপল লেয়ার সার্জিক্যাল মাস্ক, ২০০ টা ORS তুলে দিলেন অঙ্কিত-প্রান্তিকের বন্ধুরা।

 

আরও পড়ুন ১৫ দিন পর বাবাকে ফিরে পেলেন ‘বাহামণি’ রণিতা

 

দুই বন্ধু সোমদত্তা রায় এবং চয়ণ চক্রবর্তীর উদ্যোগের পাশে দাঁড়ালেন অঙ্কিতা-প্রান্তিক। পাশে পেলেন ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক রায়কেও।

তাঁদের এই উদ্যোগের কথা জানিয়ে চয়ণ একটি পোস্টও শেয়ার করেছেন। অঙ্কিতা সেই পোস্ট কপি করে রিপোস্ট করেছেন নিজের ওয়ালে। তাতে লেখা, ‘বরাবরের মতই কিছু মানুষ নিঃস্বার্থে পাশে এসে দাঁড়াল আবার। কাদের জন্য ? আসানসোল, নিয়ামতপুর/ কুলটি, রঘুনাথপুর এলাকায় আমার যেসব ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবরা মিলে, করোনা মোকাবিলায়, সামনের সারিতে থেকে মানুষের জন্য লড়ছে, তাদের জন্য। আমি বা সোমদত্তা একটা যোগসূত্র মাত্র।

 

 

ক) ১০০ টি পিপিই কিট (সিম সিল্ড), খ) ৬০ লিটার স্যানিটাইজার গ) ৪ টি ব্যাটারি চালিত স্যানিটাইজার মেশিন (১৬ লিটার), ঘ) ১০০০ টা ট্রিপল লেয়ার সার্জিক্যাল মাস্ক, ঙ) ২০০ টা ORS। এগুলো আমরা প্রয়োজন মতন বিতরণ করলাম আমাদের আসানসোল, নিয়ামতপুর/ কুলটি, রঘুনাথপুর এলাকার সেই মানুষগুলোর জন্য, যারা নিজেদের পরোয়া না করে বহু প্রাণ বাঁচিয়ে তুলছে, এই ভয়াবহ কঠিন পরিস্থিতিতে। এক কথায় যারা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করলেন এবং আমাদের পাশে দাঁড়ালেন— রামকৃষ্ণণ রাজামণি, মৈত্রেয়ী মিত্র, রত্না দাশগুপ্ত, অপর্ণা নন্দী, ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, অনির্বাণ মিত্র, সৌত্রিক দাস, পায়েল দত্ত, পিয়ালি সরকার, মনদীপ্ত ঘোষ, রাকা মৈত্র ভাদুড়ি, জয়ী রায়। জিনিসপত্রের পরিমাণ দেখে নিশ্চয়ই বোঝা যাচ্ছে, একটা ছোট গাড়িতে এগুলো ধরবে না। প্রায় বলার আগেই সাহায্যের হাত বাড়াল বন্ধু প্রান্তিক ব্যানার্জি এবং অঙ্কিতা চক্রবর্তী। নিজের বহুরকম চাপ সামলে, আমার পাশে থাকা, নাগাড়ে সাহায্য করে যাওয়া থেকে বিরত থাকেনি আমার বাল্যবন্ধু অভিষেক রায়। এরকমভাবে আরও মানুষকে আগামী দিনে পাশে পাব এটাই বিশ্বাস করি। দয়া করে এই কাজের মধ্যে কোন রাজনৈতিক রঙ টানবেন না।’