ক্যান্টিন মানেই খাওয়াদাওয়া, শুভশ্রী কতটা রান্নায় পারদর্শী?
রান্নায় একেবারেই পারদর্শী নই। এই ছবিটা করতে গিয়ে কাটিং-চপিং শিখতে হয়েছে। বিয়ের আগে প্রচুর রান্না করতাম। কিন্তু বিয়ের পর একেবারেই সেই অভ্যেসটা চলে গিয়েছে। শাশুড়ি বা বর কেউই পছন্দ করেন না রান্নাঘরে ঢুকে সময় নষ্ট করি।
ইউভানের তবে এখনও মায়ের হাতের রান্না খাওয়া হয়নি?
এখনও অবধি পায়েস খাইয়েছি ওর জন্মদিনে। ওর জন্মদিন আসছে সেখানেও এই দায়িত্বটা আমারই উপর। তবে শুধু ইউভানই নয়, আমার বাড়ির-পরিবারের সকলের জন্মদিনে এই পায়েস তৈরির দায়িত্বটা কিন্তু আমার উপরেই থাকে।
ছবিতে বৌদিই ‘হিরো’, আবারও কমার্শিয়াল ছবি ছেড়ে কেন নারীপ্রধান ছবি?
সত্যি কোথা বলতে কী, নারী স্বাধীনতা নিয়ে সাধারণত আমরা যে ভাষায় কথা বলি, এই গল্পটায় কিন্তু বুনন একেবারে আলাদা। নারীশক্তি, নারীসম্মান আর তার চেয়েও বড় সমানাধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে যা আমাকেও ভাবিয়েছে। শুধু খাওয়াদাওয়াই কিন্তু এই ছবির মূল বিষয় নয়। স্বামী-সংসার ঠিক রেখেও নিজের স্বপ্ন পূরণও যে কতটা দরকার এই ছবি সেই কথাই বলে।
কমার্শিয়াল হিরোইন পরপর বেশ কিছু ছবিতে ডি-গ্ল্যাম লুকে, একটা স্থায়ী ফ্যানবেস হারানোর ভয় নেই?
আমার মনে হয় এখন সিনেমার ভাষার পরিবর্তন এসেছে। আমরা সবাই দর্শক হিসেবেও রিলেটেবল চরিত্রকে হাতড়ে বেড়াই। আমি সাজগোজের বিরোধী নই। যদি চরিত্রের প্রয়োজনে শুভশ্রীকে আবারও গ্ল্যামারাস অবতারে ফিরে যেতে হয় তাতেও তার অসুবিধে নেই।
এতগুলো বছর, এত ওঠা-নামা, পিছনে ফিরে দেখলে কী মনে হয়?
আমার পুরো জার্নিটাই কিন্তু দারুণ লাগে। কিছু নিয়েই আমার কোনও ক্ষোভ নেই। যখন অতীত ফিরে দেখি তাও সুন্দর মনে হয়, এখন যখন দেখি তখনও জীবনকে সুন্দর লাগে, আশা করি আগামী দিনেও তাই লাগবে।
শুভশ্রী যদি ইন্ডাস্ট্রির ‘বৌদি’ হন তবে টলিউডে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় দেওর কে?
(এক চোট হেসে) এই রে! ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ এখনও সাহস করে আমায় বৌদি বলতে পারে না।
(খানিক থেমে) তবে হ্যাঁ, আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ যিনি আমার বিয়েতে ভাসুর হিসেবে আমায় আশীর্বাদ করেছিল সে হচ্ছে রুডি মানে রুদ্রনীল দা (রুদ্রনীল ঘোষ)। হি ইজ মাই ফেভারিট ওয়ান।