Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Monami Ghosh Exclusive: সকলে বাগদা-গলদা খেয়েছে, আমি প্রোটিন খেয়ে থেকেছি, মনামী ঘোষ

Diet: সকলে পাশে বসে বাগদা-গলদা খেয়েছে, আমি শুধুই প্রোটিন খেয়ে থেকেছি। সেটা সত্যিই কষ্টের। তবে সেটা সব সময়ের জন্য নয়।

Monami Ghosh Exclusive: সকলে বাগদা-গলদা খেয়েছে, আমি প্রোটিন খেয়ে থেকেছি, মনামী ঘোষ
Follow Us:
| Updated on: Jun 29, 2022 | 11:42 AM

মনামী ঘোষ। ইদানীং যাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই মেলে নিত্য নতুন ফ্যাশন টিপস। অভিনয়ের দীর্ঘ জার্নিতে মনামী পরখ করেছেন অনেক কিছুই। চাক্ষুস করেছেন বদল, কখনও ইন্টারনেটের হাত ধরে ফ্যাশনে জোয়ার আসা, কখনও আবার ট্রোলিং-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বোল্ড লুকে ঝড় তোলা, মনামী মানেই ‘ভাইরাল’। আর তাই তাঁর জীবনে ফ্যাশনের ভূমিকা থেকে শুরু করে টলিউড ফ্যাশনের হাল হকিকত, সবটা নিয়েই খোলা মনে TV9 বাংলার সঙ্গে কথা বললেন মনামী।

TV9 বাংলা- মাসে কত টাকা বরাদ্দ থাকে তোমার পোশাক কেনার খাতে?
পোশাক কেনার বাজেট, সত্যি বলছি কখনও ভাবি না। ছোটবেলায় তো আর তেমন বাজেট বলে কিছু হত না। তেমন টাকাও ছিল না। ওই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবার যেমন হয়, আমারও হত। তখন দেখতাম আর ভাবতাম। আর এখন! এখন আবার উল্টোটা ঘটে। বাড়ি থেকে যদি দু’-পা বেরোতে যাই, বিভিন্ন ব্র্যান্ড আমায় পোশাক পাঠাতে চায়। কোনও অনুষ্ঠানে বা কোনও প্রিমিয়ারে যাই, সকলেই মুখিয়ে থাকে আমায় পোশাক পরাবে বলে। এমন কি আমি যদি কোথাও ঘুরতেও যাই, তখনও ফোন আসে, আমি জানালাম না কেন, তাহলে তাঁরা পোশাক দিতেন।
মনামীর কালেকশনে কত জোড়া জুতো আছে?
এক কথায় উত্তর দিচ্ছি অসংখ্য। আমি নিজেও জানি না। গুণে শেষ করতে পারি না।
ওয়ার্ড্রোব ম্যালফাংশন-এ কখনও মনামী পড়েছে?
অবশ্যই। একবার বা দু’বার নয়, বারে বারে ঘটেছে। তবে এই কি তা দর্শকদের নজরে পড়েনি। ধরো শুটিং করছি, এমন অ্যাঙ্গেলে ক্যামেরা ধরা যে সেটা নজরে এলো না। বিশেষ করে ফোটো শুটের সময় তো বারে বারে ঘটে থাকে। সেই ছবিগুলো বাদ দিতে হয়। এটা আমার কেন, এটা অনেকের সঙ্গেই ঘটে। খুব সাধারণ বিষয়। আসল কথাটা হল তখন তুমি কীভাবে সামলাবে নিজেকে।
তোমার কাছে ফ্যাশনের খারাপ-ভালর সংজ্ঞাটা ঠিক কেমন?
যিনি ভালবেসে যেটা পরেন আমি মনে করি সেটাই তাঁর কাছে ফ্যাশন। ফ্যাশন খারাপ ভাল তুমি আমি আমরা স্থির করি। আমরা যাঁরা তাঁদের দেখে মন্তব্য করে বসি, যে খুব ভাল লাগছে, বা এটা না পরলেও পারতে। সত্যি বলতে এটা ব্যক্তিবিশেষে নির্ভর করে। তাই আমি মনে করি খারাপ ফ্যাশন বলে কিছুই হয় না।

মনামীর সারাদিনের রুটিন কী?
মনামীর সারাদিনের রুটিন তেমন কিছু নয়। তবে ‘ভিটামিন এম’ করার আগে আমি প্রতিদিন জিমে গিয়েছিলাম। জিম থেকেই আমায় একটি ডায়েট দেওয়া হয়েছিল। কোনও কার্বোহাইড্রেট থাকবে না। সেটা দেড়মাস মেনে চলেছি আমি। সকলে পাশে বসে বাগদা-গলদা খেয়েছে, আমি শুধুই প্রোটিন খেয়ে থেকেছি। সেটা সত্যিই কষ্টের। তবে সেটা সব সময়ের জন্য নয়। আমি খেতে বেশ ভালবাসি। যদি কোথাও বেড়াতে যাই, দেখবে একদম ডায়েটের বাইরে বেরিয়ে খাই। সেখানকার লোকাল খাবার খাই, ছুটির দিনে মায়ের হাতের বিরিয়ানি চাই-ই চাই। বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মনে ভরে খাওয়া, সবই করি আমি।
সেলেব মাত্রই তো ট্রোলের শিকার—তুমি বিষয়টা কীভাবে দেখ, বিশেষ করে যেখানে তুমি ফ্যাশন নিয়ে চর্চা করো?
একটা কথা বলতে চাই, যদি কেউ ট্রোলের কথা ভেবে, লোকে কী বলবে ভেবে পোশাক পরে, তবে তা ফ্যাশন নয়। তোমার যেটা ভাল লাগে তুমি পরবে, যার ভাল লাগল লাগল, না লাগলে তার দৃষ্টিভঙ্গী। মনামী পোশাক নিজের জন্য পরে, অন্য কারও জন্য নয়। তবে একটা কথা বলব, কেউ ভাল বললে অবশ্যই ভাল লাগে। তবে নিজের ভাললাগাটা আমি অন্যের পছন্দ-অপছন্দের হাতে তুলে দিতে নারাজ। আমি সকলকেই বলব যে, মন যা চায়, এটা ঠিক সেইটা করারই সময়। ট্রোলিং আগেও ছিল, আগামীতেও থাকবে, তবে তুমি বাঁচবে কবে! নিজের মনের কথা তুমি শুনবে কবে?
(সাক্ষাৎকারের পরবর্তী অংশ আগামিকাল, 28.06.2022)                                           অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ