Inside Story: এটা ঠিক যে প্রতিযোগিতা সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে। বেড়েছে কারণ ভাল-ভাল ছেলে-মেয়েদের ছবির জগতের প্রতি একটি ঝোঁক, ভালবাসা তৈরি হচ্ছে।
Follow Us
বাংলাদেশ স্থায়ী ঠিকানা হলেও পর্দায় অভিনেত্রী নুসরত ফারিয়া প্রথম জনপ্রিয় হয়েছেন টলিউডের হাত ধরেই। মডেলিং থেকে শুরু করে অভিনয়, প্রতিটা ধাপেই নিজেকে ভেঙে-গড়ে প্রমাণ করে চলেছেন। দুই দেশের দর্শকদেরই তিনি সমানতালে সামলাতে সিদ্ধহস্ত। টলিউডে নুসরত ফারিয়ার কাজ কম-বেশি সমাদৃত। তবে ঢাকার ছবিটা কেমন? এবার বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগৎ নিয়ে TV9 বাংলার সঙ্গে কথা বললেন নুসরত।
বাংলাদেশের পাশাপাশি টলিউডেও অভিনয়, কোন ক্ষেত্রে নুসরতের দাপট বেশি?
কলকাতা আমার কাছে ঢাকার মতোই খুব কাছের। এক কথায় নিজের পরিবার। কারণ আমার জীবনে প্রথম বড় ছবি তো টলিউডেই। একটা নয়, একাধিক প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত আমি। এই কলকাতা থেকে ফিরলাম… এমনটাই চলছে—আসা-যাওয়ার মাঝে। যা ছবি করেছি, তার অধিকাংশটাই তো টলিউডে। সম্প্রতি শুট শেষ করলাম যশের সঙ্গে—‘রকস্টার’। বেশ কয়েকটা ছবি পাইপলাইনে। সকলের ভালবাসায় এভাবেই কাজটা করে যেতে চাই, সে টলিউড হোক আর ঢালিউড।
করোনার পর ছন্দে ফিরছে চলচ্চিত্র জগৎ—ঢাকার দর্শকেরা কতটা হলমুখী?
ভারতের মতো—প্রথমদিকে—এখানেও সেভাবে দর্শক আসছিল না ছবি দেখতে। বেশ কিছু ছবি প্রথমটায় তা-ই খুব একটা আয়ের মুখ দেখতে পায়নি। তবে এখন আস্তে-আস্তে ছবিটা পাল্টাছে। শেষ কয়েকটা ছবি মুক্তিতে দেখছি দর্শক আবারও প্রেক্ষাগৃহে ফিরছে। সামনে একগুচ্ছ ভাল ছবি আসছে। এখন এমন অবস্থা, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত শুক্রবার ব্লকড। ছবি রিলিজ় করাতে এখন অপেক্ষা করতে হচ্ছে ছ’ থেকে সাত মাস। ফলে বলাই যায় যে আবারও স্বাভাবিক হয়েছে ঢাকার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি।
বাড়ছে প্রতিযোগিতা—নতুন মুখদের জায়গা করে নেওয়াটা কতটা কঠিন এখন ঢাকায়?
এটা ঠিক যে প্রতিযোগিতা সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে। বেড়েছে কারণ ভাল-ভাল ছেলে-মেয়েদের ছবির জগতের প্রতি একটি ঝোঁক, ভালবাসা তৈরি হচ্ছে। তাঁরা ভাল কাজ করতে চাইছে। প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ফলে সেই দিক থেকে যদি বিচার করা যায় এটা সত্যি যে, কঠিন হয়ে যাচ্ছে কাজ পাওয়া বা কাজটাকে ধরে রাখা। অভিনেতা হিসেবে প্রথম কাজটা পেয়ে যাওয়াটায় কোনও সাবাশি নেই, সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে টিকে থাকাটাই হচ্ছে আসল পরীক্ষা। সেখানে গিয়ে হয়তো অনেকেই ছিটকে যায়। তবে এখন ঢাকাও নতুনদের সুযোগ দিচ্ছে, নতুন মুখদের জায়গা করে দিচ্ছে, ভাল-ভাল কাজ হচ্ছে। সাত বছর আগে বিষয়টা এতটা সহজ ছিল না। একটা সময় এমনই কথা বলতে শোনা যেত, ভাল ঘরের ছেলে মেয়েরা ছবি করে না। বললে বিশ্বাস করবে না, আমার বাড়ি থেকেও আমায় বারণ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই ধারনাটা পাল্টাচ্ছে। তাই অনেকেই এখন ছবি জগতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে। পাল্টাচ্ছে সাধারণের চিন্তাভাবনা।
ঢাকার অন্দরমহলে কি স্বজনপোষণ বর্তমান?
কী বলি বলুন তো, আমি আসলে স্বজনপোষণে বা নেপোটিজ়মে বিশ্বাসী নই। বরং বলতে পারেন ফেভাটিরিজ়ম। আমি কারও জন্য একটু সুপারিশ করে দিলাম। আমার পরিচিত কেউ হয়তো সত্যি ভাল কাজটা করে, চেষ্টা করছে তাঁকে দু’টো যোগাযোগ দিলাম। আর এটা সব ইন্ডাস্ট্রিরর ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আমার ঢাকাতেও হয়। এটাকে আমি স্বজনপোষণ বলি না। এটা তো সাহায্য, এভাবেই তো এগোবে নতুনরা। পাশে থাকা, সাহায্য করা আর স্বজনপোষণ বিষয়টা কিন্তু আলাদা। সেটা সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই।
আবার কবে কলকাতায় আসা হবে?
একটা পুজোর কাজের কথা চলছে। যদি সবটা ফাইনাল হয়ে যায়, তবে এরই মধ্যে আবার যাব।