প্রথম সব কিছুই অত্যন্ত স্পেশ্যাল। প্রথম কাজ, প্রথম প্রেম, প্রথম চিঠি, প্রথম স্কুল…। মনে পড়লে আলাদা ভাল লাগা ঘিরে থাকে। ব্যতিক্রম নন অভিনেতা (Actor) রাহুল দেব বসুও (Rahul Dev Bose)। টেলিভিশনের অত্যন্ত পরিচিত অভিনেতার কেরিয়ার শুরুটা ছিল ক্যামেরার আড়ালে। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সহকারী হিসেবে এক বছর কাজ করেছিলেন তিনি। ফিরে দেখলেন মেনস্ট্রিমে তাঁর প্রথম কাজ ‘রাজকাহিনি’র স্মৃতি।
সোশ্যাল ওয়ালে সোমবার একটি পোস্ট শেয়ার করেন রাহুল। ‘রাজকাহিনি’র চিত্রনাট্য। উপরে সৃজিত মুখোপাধ্যায় স্বাক্ষর। ২০১৬-র সেই কাজ রাহুলকে অনেক কিছু শিখিয়েছিল। যা আজও তাঁকে নস্ট্যালজিক করে তোলে।
রাহুলের কথায়, “রাজকাহিনি অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে আমার প্রথম ছবি। এক বছর অ্যাসিস্ট করেছিলাম সৃজিতদাকে। ওটাই মেনস্ট্রিম বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম কাজ আমার। স্ক্রিপ্টটা এখনও আমার কাছে আছে। পাঁচ বছর আগের কাজ। তখন নার্ভাস ছিল খুব। প্রচুর ভুল করতাম। বকা খেতাম। সেখান থেকে কনফিডেন্ট গ্রো করে। অনেক গ্রোথ হয়েছে আমার। অনেক কিছু মনে পড়ে। ক্রু মেম্বারদের মিস করি। কয়েকজন অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর এখন অ্যাক্টর। দেখা হয় তাঁদের সঙ্গে।”
টেলিভিশনের এক সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’-তে রাহুলের পারফরম্যান্স আজও মনে রেখেছেন দর্শক। ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ ধারাবাহিকে মহিম সেনের ভূমিকায় রাহুলের অভিনয় দেখেছেন দর্শক। ‘উমা’ বা ‘অভিযান’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাহুল। তবে প্রধান চরিত্র হিসেবে নিঃসন্দেহে ‘তরুলতার ভূত’ রাহুলের কেরিয়ারে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে সে ছবির শুটিং। তিনি জানালেন, টেলিভিশনের একটি মেগা ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র হিসেবে কাজ শুরু করবেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে শুটিং পিছিয়ে গিয়েছে।
ক্যামেরার পিছন থেকে ক্যামেরার সামনে এসেছেন রাহুল। পুরনো ‘বস’ সৃজিতকে কখনও কাজের জন্য বলেননি? হেসে রাহুল বললেন, “আমাদের কথা হয়েছে। আমায় সময় দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। যখনই কথা হয়েছে, বলেছেন ‘ওয়ার্ক অন ইওরসেল্ফ’। প্রগ্রেস কীভাবে হবে বলেছেন। কখনও বলেছেন, ‘তোকে এই ক্যারেক্টারে ভাল মানাবে’, আমি মজা করে বলি, ‘কাস্ট করে ফেলো, তাহলে’। তারপর দু’জনেই হেসেছি। হয়তো ওই ফুল সার্কেলটা আসার জন্য আমাদের দু’জনকেই অপেক্ষা করতে হবে।
তবে সৃজিতের টিমে থেকে যেভাবে কাজ শিখেছেন, তার জন্য আজও কৃতজ্ঞ রাহুল। তিনি শেয়ার করলেন, “সৃজিতদা সব কিছুই অন্য রকম ভাবে দেখেন। এমন এমন জিনিস দেখতে পান, সিচুয়েশন, সিন, পার্সনে, অন্য কেউ দেখতে পারব না। আমাকে খুব ভালবাসতেন। যখন রিজাইন করলাম, তখন বলেছিলেন, ‘আমি অনেকদিন আগেই বলেছিলাম তোর অভিনয় করা উচিত’। আমি ফিল করেছিলাম, ওই লোকটার মধ্যে কিছু দেখার ক্ষমতা আছে। ম্যাজিক টাচ রয়েছে ওঁর।”
আরও পড়ুন, আদরের ‘ডোডা’কে শুভেচ্ছা আরাধ্যার, মায়ের জন্মদিন সেলিব্রেশনে ঐশ্বর্যা