চার বছর। ঠিক চার বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘চ্যাম্প’। দেবের প্রযোজনায় এই ছবিতেই প্রথম অভিনয় করেন রুক্মিণী মৈত্র। প্রযোজক হিসেবে দেবও চার বছর পথ পেরিয়ে এলেন। কিন্তু রুক্মিণী একেবারে অন্য পেশার মানুষ ছিলেন। সফল মডেল থেকে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। গত চার বছরে বদলে গিয়েছে জীবনের অনেকটাই। চার বছর পর ফিরে তাকালে রুক্মিণীর মনে হয়, পাওনার ঝুলি পূর্ণ।
অভিনয় কেরিয়ারের চারটে বছর পেরিয়ে এসে কিছুটা নস্ট্যালজিক রুক্মিণী। TV9 বাংলাকে তিনি বললেন, “সত্যি কখনও ভাবিনি অভিনয় করব। অভিনয়ের প্রতি কোনও টান ছিল না। যেদিন ‘চ্যাম্প’-এ হ্যাঁ বলেছিলাম, তখন জানতাম এটাই প্রথম ছবি। এটাই শেষ ছবি। যেদিন অ্যানাউন্স হয়েছিল, আমি চ্যাম্প করছি, তখন বাইরে থেকে এবং কলকাতা থেকেও বেশ কিছু অফার এসেছিল। তখন বলেছিলাম, এটা করছি। আর করব না। মানুষ একটা প্ল্যান নিয়ে এগোয়, আর ঈশ্বর আর একটা প্ল্যান তৈরি করে রাখেন। সেটা মানুষ জানতেও পারে না।”
শুধু টলিউড নয়। এই চার বছরে বলিউডেও পা রেখেছেন রুক্মিণী। বিদ্যুৎ জামালের বিপরীতে বলিউডে ডেবিউ ছবি ‘সনক’-এর শুটিং ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন নায়িকা। তবে টলিউড তাঁর শিকড়। সেটা ভুলে যাবেন না। রুক্মিণীর কথায়, “টলিউড আমার জায়গা, এটা ছাড়ছি না। এটার জন্যই ওটা পেয়েছি। নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। চার বছর আগে ডেবিউ হিসেবে যে প্রেশারে আমি ছিলাম, আমার মনে হয় না, আর কাউকে এত প্রেশারে পারফর্ম করতে হয়েছে। আমি সেটা হয়তো জাস্টিফাই করতে পেরেছি। কাজ দিয়ে যাতে জাস্টিফাই করতে পারি সে চেষ্টা করব। কনসেপ্ট ভাল লাগলে যে কোনও ভাষাতেই কাজ করব।”
অভিনেত্রী হিসেবে চার বছরে নিজেকে অনেকটা তৈরি করতে পেরেছেন বলে মনে করেন রুক্মিণী। নিজের গ্রোথ হয়েছে, সেটা বুঝতে পারেন। রুক্মিণী শেয়ার করলেন, “এই চার বছরে গ্রো করেছি। এখন দর্শক হিসেবে নয়, পার্ট অফ দ্য ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে সিনেমা দেখি। আগে শুধু ছবি দেখতাম। এখন ভাঙি আর গড়ি। এটাও যে ভাবছি, এটা ভেবে অবাক হই। এখন মনের মতো চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করি। ‘সুইজারল্যান্ড’ করলাম। কেরিয়ারের দু’বছরের মাথাতেই দুই বাচ্চার মায়ের চরিত্র করেছিলাম। বলতে পারেন, প্যাশন জন্মেছে অভিনয় নিয়ে। এটাই হয়তো পার্সোনাল গ্রোথ। এটার প্রতি অনেস্ট থাকব, সততা দিয়ে চেষ্টা করব। ১০০ শতাংশ কমিটমেন্ট নিয়ে কাজ করব।”
গত চার বছরের মধ্যে অনেকটা সময়ই করোনা আক্রান্ত পৃথিবী। বদল এসেছে সব ইন্ডাস্ট্রিতেই। ওয়েব প্ল্যাটফর্মের চাহিদা এখন অনেক বেশি। রুক্মিণী এখনও সেই প্ল্যাটফর্মে পারফর্ম করেননি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “সনক-এর আগেও ওয়েবের অফার এসেছে। বাংলা, বলিউড দুই জায়গা থেকেই। কিন্তু মনের মতো নয়। তা ছাড়া সে সময় আমি সিনেমাতেও ফোকাস করতে চেয়েছিলাম। করোনায় ওয়েবই সবথেকে বড় প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমার মনে হয়, শর্ট লিভড। ওয়েবে যত তাড়াতাড়ি রেকগনিশন পাওয়া যায়, ক্যারেক্টারের সঙ্গেও দর্শক তাড়াতাড়ি রিলেট করে ফেলে। কয়েকটা ওয়েবের কথা চলছে। কনফার্মড কিছু নয় এখনও।”
অভিনয় এখন রুক্মিণীর প্যাশন। অন্যের অভিনয় দেখে ইন্সপিরেশন পান তিনি। নিজেকে প্রতিদিন উন্নত করার চেষ্টা করেন। নিজেকে ছাপিয়ে পারফর্ম করে আনন্দ পান অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন, মুম্বইতে গোবিন্দার সঙ্গে ঘরোয়া সময় কাটালেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা