“তুমিই পারো ২১৭ দিনের বক্সঅফিস রেকর্ড গড়তে”, ‘গুরু’ স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর জন্মদিনে লিখলেন শিবপ্রসাদ
‘নান্দীকার’ নাট্যদলের পেজ থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করে মেয়ে সোহিনী, মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
আজ সত্যজিতের ‘বিমলা’র জন্মদিন। স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। ১৯৭০-এর শুরুর দিকে এলাহাবাদে এ. সি. বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় স্বাতীলেখার থিয়েটার যাত্রা শুরু । তিনি বি. ভি. কারাট, তাপস সেন ও খালেদ চৌধুরীর মতো মানুষের থেকে উৎসাহ পেয়েছেন। ১৯৭৮ সালে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং নান্দীকার নাট্যদলে যোগ দেন। রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর নির্দেশনায় কাজ শুরু এবং পরে বিয়ে করেন। প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রীর আজ জন্মদিন। মেয়ে সোহিনী মায়ের ছবি পোস্ট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ছবি ‘বেলাশেষে’তে অভিনয়ের জন্য ভূয়সী প্রশংসাও কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী। ‘বেলাশুরু’তেও প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। সৌমিত্রবাবুর মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। বলেছিলেন, ‘বড় সাধ ছিল, একসঙ্গে বসে ‘বেলাশুরু’ দেখব, হল না। এটা ভাবনারই অতীত।’
জন্মদিনে তাঁর ‘ছাত্র’ শিবপ্রসাদ তাঁর গুরুর ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘বেলাশেষে থেকে বেলাশুরু। তিরিশ বছর পর আবার তুমিই পারো দুশো সতেরো দিনের বক্সঅফিস রেকর্ড গড়তে। (আইনক্স কোয়েস্ট) সবাই অপেক্ষা করছে তোমায় দেখবে বলে। শুভ জন্মদিন আমার নায়িকা। আমার ডার্লিং। আমার গুরু। আমার শিক্ষিকা। সাবাশ স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত!!’
‘নান্দীকার’ নাট্যদলের পেজ থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করে মেয়ে সোহিনী, মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘দুঃসময় যে পেরিয়ে যায় শিখেছি তোমার থেকে। দুঃসময়ে দৃঢ় হতে শেখা তোমার থেকে। দুঃসময়ে আশ্রয় দিতে শেখা তাও তোমার থেকে। দুঃসময় পেরিয়ে সুর বাঁধতে শেখা, হাসতে চাওয়া, বাঁচতে শেখা সর্বোপরি থিয়েটারে মেতে থাকা সেও তোমার কাছেই শেখা। ধন্যবাদ। প্রণাম। শুভ জন্মদিন।’