Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sudipta Chakraborty: মা-বাবাকে বৃদ্ধাবাসে রাখার সঙ্গে তাঁদের না ভালবাসার কোনও সম্পর্কই নেই: সুদীপ্তা চক্রবর্তী

Mother's Day 2022: দুজনেই সিঙ্গল চাইল্ড। বাবা-মা রয়েছেন তাই বৃদ্ধাশ্রমে। নচিকেতার সেই কালজয়ী গানের কথা মনে পড়ে গেল তো? আশেপাশে তাকিয়ে দেখলে এমন দু'তিন বাড়ির খোঁজ হয়তো আপনি অনায়াসেই পেয়ে যাবেন।

Sudipta Chakraborty: মা-বাবাকে বৃদ্ধাবাসে রাখার সঙ্গে  তাঁদের না ভালবাসার কোনও সম্পর্কই নেই: সুদীপ্তা চক্রবর্তী
মাতৃদিবসে এই নেতিবাচক কথাগুলিকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 08, 2022 | 9:40 PM

সাজানো ফ্ল্যাট, স্বামী-স্ত্রী ছুটে চলেছেন দু’জনেই। কর্পোরেট চাকরি। নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। দুজনেই সিঙ্গল চাইল্ড। বাবা-মা রয়েছেন তাই বৃদ্ধাশ্রমে। নচিকেতার সেই কালজয়ী গানের কথা মনে পড়ে গেল তো? আশেপাশে তাকিয়ে দেখলে এমন দু’তিন বাড়ির খোঁজ হয়তো আপনি অনায়াসেই পেয়ে যাবেন। পাড়ায় শুনতে পারেন সেই সন্তানের নামে নানা নেতিবাচক কথাও। ‘দেখে না’, ‘বাবা-মা’কে রাখে না…’ ইত্যাদি কত…। তবে এবার মাতৃদিবসে এই নেতিবাচক কথাগুলিকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর।

ফেসবুক জুড়ে আজ মায়েদের ছবি। কেউ শেয়ার করেছেন মায়েদের সঙ্গে খুনসুটির মুহূর্ত কেউ বা তুলে ধরেছেন ছোটবেলার নস্টালজিয়া। আর এই ঘন ঘন পোস্টেই অভিনেতা সপ্তর্ষি রায়ও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করেছেন। খানিক বক্রোক্তি করেই অভিনেতা লিখেছেন, “বলছিলাম, সবাই যদি মাকে এত ভালোবাসেন তাহলে বৃদ্ধাবাসগুলোতে কারা থাকেন?! তাঁদের ছেলেমেয়েরা বোধহয় কেউই এই ফেবু পাড়ায় নেই!”

 

 

 

 

সপ্তর্ষির এই পোস্টে যখন একের পর এক সমর্থন মূলক মন্তব্য জড়ো হচ্ছে, সুদীপ্তা হাঁটলেন একেবারে বিপরীতে। সপ্তর্ষির সঙ্গে একেবারেই সহমত না হয় তাঁর সোজাসাপ্টা কথা, “বৃদ্ধাবাসের সঙ্গে মা বাবা কে না ভালোবাসার কোন সম্পর্ক কিন্তু নেই।” তাঁর যুক্তি এখনকার দিনে পরিবার ছোট, ইংরেজিতে যাকে বলে নিউক্লিয়ার ফ্ল্যামিলি। সন্তানেরা তাই বাবা-মা’কে বৃদ্ধাবাসে রাখছেন তাঁদের কথা ভেবেই। সুদীপ্তা লিখছেন, “আমরা সারাদিন কাজের পিছনে ছুটব, টাকা রোজগার করব, বাচ্চা মানুষ করব, নানা দায়িত্ব পালন করবো সারাদিন আর মা বাবা একা একা বাড়িতে বসে টিভি সিরিয়াল দেখে একাকিত্ব কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করবেন, কোনও এমারজেন্সিতে রেসপন্সিবল কাউকে তক্ষুণি আশেপাশে পাবেন না…এমন অবস্থায় রেখে দেওয়ার চেয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর হল সমবয়সী আরও অনেকগুলো মানুষের সঙ্গে অবসর জীবন কাটানো।”

একা থাকার চেয়ে অনেকের সঙ্গে আনন্দে থাকাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন অভিনেত্রী। মেডিক্যাল ইমারজেন্সিতে যাতে হাতের কাছে দক্ষ লোক পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে বৃদ্ধাবাসযে অনেক বেশি সুরক্ষিত এমনটাই মত তাঁর। নচিকেতার গান বলেছিল, “নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী/ সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি/ ছেলের আমার, আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম/ আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম”। আর এই কথাগুলিকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ জানালেন অভিনেত্রী। দায়িত্ব ঝেরে ফেলা নয়, বরং দায়িত্বশীল ছেলেমেয়েরাই বাবা-মা ও সকলের স্বার্থে তাঁদের বৃদ্ধাশ্রমে রাখেন, তাঁদের মনের খেয়াল রাখার জন্যই নেন এমন সিদ্ধান্ত, অশ্রদ্ধা-অবহেলা এখানে উদ্দেশ্য নয়— সাফ কথা তাঁর।