গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক অনুপম রায়কে বিয়ে করেছিলেন সমাজসেবী-গায়িকা পিয়া চক্রবর্তী। তাঁরই বন্ধু অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক পরমব্রত চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক হয় পিয়ার এবং অনুপমকে ডিভোর্স দিয়ে পরমব্রতকেই বিয়ে করেন তিনি। চলতি বছর ২৭ নভেম্বর, হঠাৎই আসে সেই বিয়ের খবর এবং এই ত্রিকোণ সম্পর্ক হয়ে ওঠে নিন্দুকদের রসালো গল্প। অনুপমের গানের লাইন, বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরমব্রতর পরকীয়া প্রেম এবং বিয়ে… এ সব গসিপ বাংলা সিরিয়ালকেও হার মানিয়ে দেয় কিছুদিনের মধ্যেই। তৈরি হয় কুৎসিত মিম এবং নানাবিধ মস্করা। এ সবই সহ্য করেছেন পরমব্রত এবং পিয়া। তবে যে ব্যাপারটি নিয়ে পিয়া ভীষণ ক্ষিপ্ত, তা হল তাঁর সন্তানের প্রসঙ্গ।
পরম-পিয়ার বিয়ে এবং আড়ালে থাকা অনুপমকে নিয়ে ‘খিল্লি’ যখন পুরোমাত্রায় চলছে, সেই মুহূর্তে আরও একটি বিষয় নিয়ে নানা ধরনের তামাশা তৈরি হয়। তা হল পিয়ার সন্তান। পিয়ার নাকি দুটি সন্তানও আছে এবং সেই সন্তানদের ছেড়েই তিনি নাকি পরমকে বিয়ে করেছেন পিয়া। সন্তানের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কথা শুরু হয়েছে দেখে প্রথমে বিষয়টিকে হজম করার চেষ্টা করেছিলেন পিয়া। কিন্তু বিষয়টা এখন তাঁর সহ্যের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাঁর বন্ধুবান্ধবদের কাছেও বিষয়টা পৌঁছেছে। এবং তাঁদেরও শুনতে হচ্ছে কথা। এর আগে এক TV9 বাংলাকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে পিয়া বলেছিলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও বিষয়ই স্থায়ী থাকে না বেশিদিন। এবং সেটা তাঁর জীবনকেও স্পর্শ করে না, যতক্ষণ না বিষয়টা তাঁর নিকট মানুষদের স্পর্শ করছে।”
সন্তান নিয়ে গুজবকেও প্রথমদিকে সেই কারণে পাত্তা দেননি পিয়া। কিন্তু আর না। কিছুক্ষণ আগে একটি ফেসবুক পোস্টও করেছেন পিয়া। তাতে তিনি লিখেছেন, “জনস্বার্থে প্রচার করছি, বাধ্য হয়ে। পিয়া চক্রবর্তীর, মানে আমার, কোনও সন্তান নেই। কস্মিনকালেও ছিল না। দুটিও নয়, একটিও নয়। দয়া করে ফেক নিউজ় ফ্যাক্টরির দ্বারা মুর্গি হবেন না। আচ্ছা নমস্কার। জনতার মঙ্গল হোক।”
এ ব্যাপারে নিজের ক্ষোভের জায়গা পিয়া প্রকাশ করেছেন TV9 বাংলাকেও। তিনি স্পষ্টই বলেছেন, “আমি চাই এই বিষয়টা নিয়ে আপনারা লিখুন। আমি খুবই বিরক্ত হয়েছি। অনেক দিন থেকে এই মিথ্যা রটনা চলছে। যবে থেকে আমি পরমকে বিয়ে করেছি, তবে থেকেই। বিভিন্ন পোস্ট, ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখতে পারছি তাঁরা বলছেন আমার নাকি আগে থেকেই দুটি সন্তান আছে। এতদিন কোনও কথা বলিনি, কারণ মনে করিনি উত্তর দেওয়ার কোনও দরকার আছে বলে। কিন্তু ইদানিং, বিরক্তিকর হয়ে ওঠছে পুরো বিষয়টা। লোকজন আমাকে মেসেজ করছেন। আমার বন্ধুদেরকেও কথাগুলো শোনানো হচ্ছে। প্রথমত, তথ্য হিসেবে বিষয়টা ভুল। দ্বিতীয়ত, সন্তান খুব স্পর্শকাতর বিষয়। সেটা নিয়েও ভুল তথ্য… সহ্য করতে পারছি না। একটা কথাই বলতে চাই, অনলাইনে যা কিছু দেখছেন আপনারা, সব সত্যি না। তাই বলছি, সত্যি যাচাই না করে প্লিজ় সব কথা বিশ্বাস করবেন না।”