তথাগত মুখোপাধ্যায় (Tathagata Mukherjee) এবং দেবলীনা দত্ত নিয়ে প্রায়শ নানা খবর থাকে সংসাদ মাধ্যমে। তথাগতর প্রথম বড় পর্দার ছবি ‘ভটভুটি’। ২০১৯ সালে তৈরি সেই ছবি অবশেষে মুক্তির অপেক্ষায়। এই ছবির হাত ধরে মডেল থেকে নায়িকা হয়েছেন বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়। তবে এই ছবি মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ায় অন্য কাজ দিয়ে রূপোলি জগতে ডেবিউ করেছেন তিনি। তবে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজে কেমন অভিনয় করেন বিবৃতি তা নিয়ে যত আলোচনা হয়, তার থেকে বেশি খবর তথাগত-দেবলীনা আলাদা হয়ে যাওয়ার জন্য তৃতীয় ব্যক্তি তিনিই কি না এই নিয়ে। মাঝে মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া তিনজনের পোস্ট এই আগুনে ঘি ঢালে। এবার ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। এতদিন ফোনে ফোনে যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে সংবাদ মাধ্যম, এবার পাওয়া যাবে তিনজনকে হাতের কাছে। আর তখন এই বিষয়টি উঠে আসবেই, সে নিয়ে কোনও মতান্তর নেই।
আজ ছিল তেমনই একটা দিন, যখন ‘ভটভুটি’ সিনেমার টিমের সঙ্গে বিশেষ বার্তালাপের সুযোগ ছিল। তথাগত-দেবলীনা ছিলেন, বিবৃতি নন। দুইজনকে সামনে পেয়ে স্বভাবতই উঠে এল সেই প্রশ্ন। উত্তরে দেবলীনার পাল্টা প্রশ্ন, “মানছি প্রশ্নটা আসবে, কিন্তু প্রশ্ন করলেই উত্তর দেবই সেটার কি কোনও মানে আছে?” না, সে হয়তো নেই কিন্তু এটা তো এড়িয়ে যাওয়া। তথাগত প্রশ্ন করলেন না, তবে উত্তরও দিলেন না। শুধু বললেন, “মানছি আমরা আলোকবৃত্তে থাকা মানুষ। সকলে আমাদের খবর জানতে চান, কিন্তু আমরাও তো মানুষ। আমাদের কাজের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। ব্যক্তিগত জীবনটা ব্যক্তিগতই থাক। সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরেও আমাদের একটা একটা জীবন রয়েছে।”
আজকাল সিনেমার প্রচারের জন্য পরিচালক-প্রযোজক নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন। তাঁদের তিনজনের এই আলাদা হওয়া, তৃতীয় ব্যক্তি আসা, এগুলো কী তেমনই কিছু? “আরে এমন হলে তো মানতেই হবে আমরা ছবি নিয়ে কতটা ভাবছি। তাহলে দর্শকদের অনুরোধ সিনেমা হলে গিয়ে দেখুন ছবি। এই ছবির জন্য এত বড় কাজ করছি” উত্তেজিত মন্তব্য দেবলীনার।
না, তথাগত এতটা উত্তেজিত নন। বরং খুব শান্তভাবে হেসে তাঁর উত্তর, “একেবারেই এটা সিনেমার প্রচার চমক নয়। আমরা আলাদা হয়েছি, কারণ দুটো মানুষের মধ্যে মতের পার্থক্য হয়েছে তাই। এর সঙ্গে সিনেমার কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে তো সিনেমার প্রচারে একসঙ্গেই থাকতাম না। ছবি ভাল হলে দর্শক এমনই সিনেমা দেখবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি। এই ধরনের প্রচারের দরকার নেই।” তথাগত কথা শেষ হতে হতে দেবলীনা একটু শান্ত। তিনি তথাগতর প্রসঙ্গে টেনে বললেন, “আমার কথাটা হয়তো একটু রুড শোনাতে পারে, তবে আমি আসলে এটা বলতে চেয়েছি চার দেওয়ালের মধ্যের খবর বাইরে মানুষের বোঝা সম্ভব নয়। এমনকি আমি বলব একসঙ্গে থেকেই তথার জুতোয় আমি কিংবা আমার জুতোতে কি তথা পা গলিয়েছে? আমার কাছে তো এই ৯ বছর এখনও আমার জীবনের বেস্ট সময়। সকলে আমাদের ভালবাসেন, আমাদের জীবনের ভাল-মন্দের সঙ্গে জুড়ে থাকেন, এটাই সবচেয়ে ভাল লাগা।” সাক্ষাৎকারের মাঝে তথাগতর কাশি ওঠে, দেখা গেল দেবলীনার উদ্বেগ। প্রাক্তনের জন্য জল আনতে ব্যস্ত তিনি। তিনি যে আজও কতটা তথাগতর প্রতি অনুভূতি প্রবণ সেটা বোঝা গেল। মতপার্থক্য মিটিয়ে কি তাঁরা আবার একসঙ্গে হবেন? সেটার উত্তর তো সময় দেব।