Ishaa Saha: ‘ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে চুপ থাকাই ভাল’, হঠাৎ কেন বলে বসলেন আইনের প্রাক্তনী ইশা?

Ishaa Saha on Personal Life: বাংলা সিনেমা-সিরিজে রোজই দেখা যায় অভিনেত্রী ইশা সাহাকে। তবে বলিউডের কাজের কোন খবর আছে কি? উত্তরে কী বললেন ইশা? কীই বা বললেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এরকম অনেক প্রশ্ন করেন TV9 বাংলা। বলে চলেন অভিনেত্রী।

Ishaa Saha: 'ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে চুপ থাকাই ভাল', হঠাৎ কেন বলে বসলেন আইনের প্রাক্তনী ইশা?
ইশা সাহা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 13, 2023 | 8:30 PM

সিনেমায় অভিনয়ের আগে অভিনেত্রী ইশা সাহা আইন নিয়ে পড়াশোনা করতেন, তখন ব্যারাকপুর লোকালে যাতায়াত করতে হত। তবে এখন এই বিষয় নিয়ে কেন আলোচনা চলছে? কারণ ইশা সাহার আগামী ছবির নাম ‘একটু সরে বসুন’। এই ছবির পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। এই ছবির আলোচনা প্রসঙ্গেই ইশা বলেন, ”আমি কয়েক বছর আগেও যখন কলকাতার কলেজে আইন পড়তে আসতাম, তখন যাতায়াত করতে হত ব্যারাকপুর লোকালে। আর যারা ব্যারাকপুর লোকালে যাতায়াত করেন, প্রত্যেকেই জানেন, ব্যারাকপুর লোকালে কী অবস্থার মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। আর সেই অবস্থায় এই বাক্যটা ব্যবহার করতেই হয়, মোটেও ভালভাবে বলা হয় না, প্রায় বিরক্ত হয়েই সকলে বলেন ‘একটু সরে বসুন না।’ তবে বিরক্ত হলেও হাতাহাতি বা বাড়াবাড়ি হয়নি, কারণ আমার কলেজটা ছিল মর্নিং কলেজ। তাই ভাগ্য ভাল খুব বেগ পেতে হয়নি, তবে মাঝেমাঝেই ভিড় পেয়েছি। তবে রোজকার জীবনে অনেকেই এই বাক্য ব্যবহার করে থাকেন।”

ইশা আরও জানালেন, তিনি এই ছবিটি বনফুলের ‘পাশাপাশি’ গল্প থেকে তৈরি হয়েছে, সেটা পড়া হয়নি। তাহলে এই ছবি করতে রাজি হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বললেন, “এই ছবির প্রস্তাব নিয়ে আসেন পরিচালক নিজে। আর তাঁকে না করার কোন কারণই নেই। ছবির কনসেপ্ট শুনে মনে হয়েছিল দারুণ গল্প এবং সমসাময়িক। একদম কম পরিসরে যেখানে কাজ কম আর দাবিদার বেশি, সেখানে একটি ছেলের স্ট্রাগলের কথা বলে এই ছবি।”

এই কথার সূত্র ধরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ইশা সাহাকে টলিউডে কাজ করতে কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছিল? এর উত্তরে নায়িকা বলেন, “আমার প্রথম ছবি ‘প্রজাপতি বিস্কুট’, সেই ছবি করার পর মনে একটা ধন্দ ছিল কিছু না হলে আবার ফিরে যাব কোর্টে, তবে পরপর কিছু ছবি চলেছে। তাই খুব কষ্ট করতে হয়নি, তবে অভিনয়ে মন দিয়েছি, ‘বুড়ো সাধু’ ছবিতে হ্যাঁ বলেছিলাম ঋত্বিকদা আছে শুনে। ভেবেছিলাম আর যদি ছবি না পাই অন্তত সিনেমার ইতিহাসে আমার নামটা লেখা থাকবে। তবে দেখ, আবার ঋত্বিকদার সঙ্গে কাজ করছি।”

এই ছবিতে পাওলিও রয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যাট ফাইট দেখা যায়, দুই অভিনেত্রীর ঝগড়াও শোনা যায়, ইশার কি এরকম কোনও অভিজ্ঞতা আছে? হেসে নায়িকা বললেন, “শোনা অনেক কিছুই যায়, তবে আমার সেরকম অভিজ্ঞতা নেই।” এই কথাতেই তাঁকে আবার প্রশ্ন করা হয়, পাওলির সঙ্গে তাঁর মুখের মিল রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইশা বলেন, “আমিও শুনেছি, পাওলিদি খুবই সুন্দরী, তাঁর মত দেখতে হলে ভালই হত। তবে আমি মনে করি না আমাদের কোনও মিল আছে।”

বাংলা সিনেমা-সিরিজে রোজই দেখা যায় অভিনেত্রীকে। তবে বলিউডের কাজের কোন খবর আছে কি? উত্তরে ইশা বললেন, “অনেক দিন ধরেই কথা চলছে, সেইমতো অডিশনও চলছে, কিছু ঠিক হলেই জানাব। তবে আমার কোনও তাড়া নেই। ধীরস্থির ভাবেই এগোতে চাই, আর না হলেও বা কি? আমি জানি বহু বাঙালি অভিনেতা রয়েছেন, যারা বাংলার বাইরে কাজ করেননি, তবে বলিউডের সকলে জানেন, বাংলার এই শিল্পীরা ভাল কাজ করেন।”

এই ছবির মধ্যে কি ঘুরিয়ে কোনও রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে? এর উত্তরে তিনি বলেন, ”সরাসরি বার্তা রয়েছে।” চাকরি নিয়ে যা দেখা যাচ্ছে, শোনা যাচ্ছে তিনি কি ভাবেন? ইশা বলেন, “আলাদা করে আর ভাবতে হবে না, সবটাই সবাই জানে।”

এত গেল কাজের কথা—ব্যক্তিগত জীবনে ইশার জীবনে প্রেম নিয়ে কি ভাবছেন? উত্তরে নায়িকা বলেন, ”এই প্রশ্নটা কি করতেই হয়?” যখন বলা হল দর্শক জানতে চায়, উত্তরে ইশার জবাব, “ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগত থাকাই ভাল, ইদানিং দেখেছি জানালেও প্রশ্ন, না-জানালেও নিজের মত করে ভেবে নেয় কিছু একটা। তাই এই নিয়ে চুপ থাকাই ভাল।”