
৫২ বছরে পা দিলেন বলিউড অভিনেত্রী থেকে লেখিকা হয়ে ওঠা টুইঙ্কল খান্না। তাঁর গ্ল্যামার আর ফিটনেস দেখে বয়সটা বিশ্বাস করা কঠিন হলেও, আজ তিনি জীবনের নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন। পর্দার রোম্যান্টিক নায়িকা থেকে ‘মিসেস ফানিবোনস’ হয়ে ওঠার এই সফরটা ছিল বেশ রোমাঞ্চকর। বিদ্রূপ আর সামাজিক পর্যবেক্ষণের মিশেলে তাঁর ধারালো লেখনি আজ তাঁকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।
বলিউডের দুই কিংবদন্তি অভিনেতা রাজেশ খান্না এবং ডিম্পল কপাডিয়ার কন্যা টুইঙ্কলের হাতেখড়ি হয়েছিল ১৯৯৫ সালে ‘বরসাত’ ছবির মাধ্যমে। ববি দেওলের বিপরীতে সেই ছবি বক্স অফিসে দারুণ সফল হয় এবং টুইঙ্কল জিতে নেন ফিল্মফেয়ারের সেরা নবাগত অভিনেত্রীর পুরস্কার। এরপর ‘বাদশাহ’, ‘জব প্যায়ার কিসিসে হোতা হ্যায়’ এবং ‘মেলা’-র মতো বেশ কিছু হিট ছবি তিনি উপহার দেন। তবে ২০০১ সালে তেলুগু কিছু কাজ করার পরই অভিনয়ের জগতকে বিদায় জানান তিনি।
২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন টুইঙ্কল। তবে এই বিয়ের পেছনে ছিল এক মজার গল্প। টুইঙ্কল নিজেই একবার জানিয়েছিলেন, তিনি অক্ষয়কে শর্ত দিয়েছিলেন যে যদি তাঁর ‘মেলা’ ছবিটি বক্স অফিসে ফ্লপ হয়, তবেই তিনি বিয়ে করবেন। বাকিটা আজ ইতিহাস। বর্তমানে এই দম্পতির দুই সন্তান— আরভ ও নিতারা।
অভিনয় ছাড়ার এক বছর পরই গুরলিন মানচান্দার সঙ্গে জুটি বেঁধে মুম্বইয়ের ক্রফোর্ড মার্কেটে ‘দ্য হোয়াইট উইন্ডো’ নামে একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টোর খোলেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগ ‘এলি ডেকোর ইন্টারন্যাশনাল ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড’ জয় করে। এর পাশাপাশি লেখিকা হিসেবেও তিনি তুমুল জনপ্রিয়। ‘মিসেস ফানিবোনস’ এবং ‘পায়জামাস আর ফরগিভিং’-এর মতো তাঁর লেখা বইগুলো বেস্টসেলার তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।
সেলিব্রিটি নেট ওয়ার্থ-এর ২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, টুইঙ্কল খান্নার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা কয়েকশো কোটি টাকা)। ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ব্যবসা, বইয়ের রয়্যালটি এবং আবাসন খাতে বিনিয়োগ থেকেই মূলত তাঁর এই বিশাল আয় আসে।