সুইসাইড করেছেন উত্তম কুমার! চিৎকার করে কোন তথ্য ফাঁস করেছিলেন সৌমিত্র?

সৌমিত্রকে ভালবেসে পুলু বলে ডাকতেন উত্তম। শুটিং ফ্লোরে হোক বা বাড়িতে মাঝে মধ্যেই আড্ডায় বসতেন উত্তম-সৌমিত্র। সিনেপর্দায় টক্কর থাকলেও, বাস্তবে বাংলা চলচ্চিত্রের এই দুই নায়কের মধ্যে ছিল মধুর সম্পর্ক।

সুইসাইড করেছেন উত্তম কুমার! চিৎকার করে কোন তথ্য ফাঁস করেছিলেন সৌমিত্র?

|

Jul 03, 2025 | 4:25 PM

উত্তম কুমার ভাল অভিনেতা নাকি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের অনুরাগীরা এই তর্কে ঝড় তুলতেন। কিন্তু উত্তম-সৌমিত্রের মধ্যে ছিল এক দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। সৌমিত্রকে ভালবেসে পুলু বলে ডাকতেন উত্তম। শুটিং ফ্লোরে হোক বা বাড়িতে মাঝে মধ্যেই আড্ডায় বসতেন উত্তম-সৌমিত্র। সিনেপর্দায় টক্কর থাকলেও, বাস্তবে বাংলা চলচ্চিত্রের এই দুই নায়কের মধ্যে ছিল মধুর সম্পর্ক। আর তাই হয়তো, উত্তমের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল সৌমিত্রর মাথায়। কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না মহানায়কের এমন পরিণতি!

সালটা ১৯৮০। দিনটা ২৪ জুলাই। হঠাৎই সৌমিত্রর কাছে খবর গেল, উত্তম আর নেই! কেঁপে উঠেছিলেন অভিনেতা। বাড়ি থেকে একছুটে পৌঁছে গিয়েছিলেন বেলভিউ নার্সিং হোমে। তখন বেলভিউয়ে উপচে পড়া ভিড়। উত্তমকে শেষদেখা দেখতে নার্সিং হোমে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সবাই। ভিড় করেছিলেন অনুরাগীরাও।

ভিড় ঠেলে সৌমিত্র ঢুকলেন বেলভিউয়ে। হাসপাতালের রুমে তখন শায়িত উত্তম কুমারের মরদেহ। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সৌমিত্র। হঠাৎই কেঁদে উঠলেন উত্তমের প্রিয় পুলু! কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎই চিৎকার। পাশে দাঁড়ানো তরুণ কুমারকে সৌমিত্র বলে উঠলেন, ”বুড়োদা, ও মুখ আমি কেমন করে দেখব গো! এই মৃত্যু তো একেবারেই ক্যালকুলেটিভ সুইসাইড! যাঁর হার্টের অবস্থা ভাল নয়, যাঁর বিশ্রামের প্রয়োজন, সে রাত ২ টো পর্যন্ত কীভাবে মদ্যপান করেন। পার্টিতে হইহই করেন! উত্তমদা একী করল!”

জানা যায়, ২৩ জুলাই, মৃত্যুর ঠিক আগের দিন প্রযোজক দেবল ঘোষের নতুন ফ্ল্যাটের গৃহপ্রবেশের পার্টিতে গিয়েছিলেন উত্তম। প্রায় রাত ২ টো পর্যন্ত পার্টি করেছিলেন। পরের দিন সকাল থেকেই শরীর খারাপ লাগে তাঁর। নিজেই চলে যান বেলভিউয়ে।

তথ্যসূত্র- মহানায়ক উত্তম কুমারকে নিয়ে লেখা অভিনেতা রবি ঘোষের প্রবন্ধ