কেন ভেঙেছিল সন্ধ্যা রায় ও তরুণ মজুমদারের সংসার?

প্রতিটি ছবিই বাঙালি সিনে প্রেমীদের মনের মণিকোঠায়। কিন্তু সিনেমার বাইরেও তরুণ মজুমদার ও সন্ধ্যা রায়ের অন্তর ছিল ভালবাসা ঘেরা। আর তাই তো সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকেই প্রিয় পরিচালকে মন দিয়ে বসেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। আর মন দেওয়া নেওয়ার পরই সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজনে। শোনা যায়, তরুণ মজুমদার ও সন্ধ্যা রায়ের বিয়ের আসর ছিল দেখার মতো।

কেন ভেঙেছিল সন্ধ্যা রায় ও তরুণ মজুমদারের সংসার?
Sandhya Roy

|

Dec 05, 2025 | 7:21 PM

২০২২ সালের জুলাই মাসে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। তরুণ মজুমদার ও সন্ধ্যা রায়ের নাম মানেই একঝাঁক ঝকঝকে বাংলা ছবি। ‘পলাতক’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। প্রতিটি ছবিই বাঙালি সিনে প্রেমীদের মনের মণিকোঠায়। কিন্তু সিনেমার বাইরেও তরুণ মজুমদার ও সন্ধ্যা রায়ের অন্তর ছিল ভালবাসা ঘেরা। আর তাই তো সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকেই প্রিয় পরিচালকে মন দিয়ে বসেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। আর মন দেওয়া নেওয়ার পরই সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজনে। শোনা যায়, তরুণ মজুমদার ও সন্ধ্যা রায়ের বিয়ের আসর ছিল দেখার মতো। গোটা টলিউড এসেছিল তরুণ-সন্ধ্যার বিয়েতে। আয়োজনও হয়েছিল এলাহি।

যে সময়ের কথা হচ্ছে, সেই সময়ে বাংলা সিনেমার নামকরা পিআর ছিলেন বাগীশ্বর ঝা। বহু সুপারহিট বাংলা সিনেমার প্রচারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো তারকাদের প্রিয় পাত্র ছিলেন ঝা। তাঁর প্রচার সংস্থায় শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করেছিলেন তরুণ মজুমদার। অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল দু’জনের। বাগীশ্বর ঝা যেমন তরুণ মজুমদারকে ছেলের মতো স্নেহ করতেন, তেমনই তরুণ মজুমদার পিতৃসম মানুষটির কথা ফেলতে পারতেন না। এই বাগীশ্বর ঝাই করেছিলেন সন্ধ্যা ও তরুণ মজুমদারের বিয়ের ঘটকালি।

সেই সময় পরিচালক ও অভিনেত্রীর প্রেম নানা গুঞ্জনে শোনা গেলেও, সেই প্রেমের শুভ পরিণতি বিয়েতে, তা ছিল গুঞ্জন পাড়ার খুবই নতুন বিষয়। সেদিক থেকে সন্ধ্যা ও তরুণ ছিলেন, উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখনও যখন টলিউডের প্রেম নিয়ে চর্চা শুরু হয়, সন্ধ্যা ও তরুণ মজুমদারের প্রসঙ্গ আসবেই।

তবে নিয়তি দেখুন, এত প্রেম, এত ভালোবাসা সত্ত্বেও, দীর্ঘদিন আলাদা ছিলেন তরুণ ও সন্ধ্যা। শোনা যায়, রাতারাতিই নাকি তরুণ মজুমদারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। তবে কেন আলাদা হয়েছিলেন তা নিয়ে বরাবরই চুপ থেকেছেন দুজনেই। গুঞ্জনে রয়েছে, চুপিচুপি নাকি তাঁরা ডিভোর্সও করেছেন। আবার অনেকে বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ না করেও, তাঁরা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অনেকে বলেন, তরুণ মজুমদার কাজ পাগল হওয়ার কারণেই নাকি সন্ধ্য়া তাঁকে ছেড়ে আসার কঠোর সিদ্ধান্ত নেন। এমনকী, শোনা যায়, বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই নাকি সন্ধ্যার উপর থেকে মন উড়ে যায় তরুণের। তরুণের কাছে নাকি কাজই ছিল প্রথম প্রায়োরিটি।  আর সেই কারণেই সন্ধ্য়ার, তরুণের বাড়ি ছেড়ে চলে আসা। গুঞ্জন পাড়ায় রটেছিল , সন্ধ্য়া রায় নাকি খুব কেঁদেছিলেন বাড়ি ছাড়ার পর। তবে এত কিছু রটলেও, এই নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি সন্ধ্যা রায়। তরুণ ও তাঁর দাম্পত্যকে সামনেই আনতে চাননি কখনও। আর সেই কারণেই হয়তো সেই সময়ের নানা গসিপ ম্যাগাজিনে নানান রঙিন গল্প।