
নাহ, প্রথমে বুঝতে পারেননি বিবেক ওবেরয়, যে ঐশ্বর্য ঠিক এমনটি করবেন। বুঝতে পারেননি ভালবাসার বদলে পাবেন শুধু অসম্মান। আর তাই তো যখনই ঐশ্বর্য প্রসঙ্গ ওঠে, বিবেক এড়িয়ে যান, নয়তো বলেই ফেলেন প্লাসটিক বিউটির, প্লাসটিক মন!
গপ্পোটা একটু বিশদে বলা যাক। সদ্য তখন সলমন খানের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়েছে ঐশ্বর্যর। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তখনও প্রেম জমেনি। ঠিক সেই সময়ই অভিনেতা বিবেক ওবেরয়ের হাত ধরলেন ঐশ্বর্য। জমল প্রেম। আর সেই প্রেমকে টেনে বক্স অফিসে সাফল্য আনতে বার বার জুটি বাঁধলেন ঐশ্বর্য ও বিবেক। কিন্তু বলিউডের গুঞ্জনে তাঁদের প্রেমের খবর সুপারহিট হলেও, বক্স অফিসে ডাহা ফেল।
এরপর আচমকাই বিবেক ও ঐশ্বর্যর প্রেমের কাহিনিতে টুইস্ট। ঐশ্বর্য তখন একের পর এক ছবি পাচ্ছেন। আর বিবেকের হাত ফসকাচ্ছে ছবি। সেই সময় বিনোদন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নানা গসিপ আর্টিক্য়াল অনুযায়ী, বিবেকের পড়ন্ত কেরিয়ার গ্রাফই নাকি ঐশ্বর্য ও বিবেকের ব্রেকআপের কারণ। বিবেক ঘনিষ্ঠরা মনে করেন, বিবেকের এমন অবস্থা নাকি মেনে নিতে পারেননি ঐশ্বর্য। আর তাই ব্রেকআপ করেছিলেন। শোনা যায়, বিবেকের সঙ্গে নাকি বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল ঐশ্বর্যর।
এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য প্রসঙ্গে উঠতেই বিবেক বলেছিলেন, ব্রেকআপ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। নিজেকে শেষ করে দিচ্ছিলাম। মদ্যপান করেছি। প্রচুর অর্থনাশ করেছি। পড়ে বুঝলাম এসব বৃথা। যে যাওয়ার সে যাবেই। এই সাক্ষাৎকারেই বিবেক বলেছিলেন, একটা জিনিস স্পষ্ট, প্লাসটিক বিউটির ভিতর রয়েছে প্লাসটিকের একটা মন!
তবে বিবেকের এমন অভিযোগ নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি ঐশ্বর্য। উলটে যখনই প্রাক্তন প্রেমিকদের কথা উঠেছে, তা সলমন হোক বা বিবেক, সব ক্ষেত্রেই ঐশ্বর্যর মুখে থাকত একটাই কথা, অতীত নিয়ে ভাবি না। বর্তমানেই থাকতে চাই।