নায়িকার এক ফোনেই কলকাতায় ছুটে এলেন ধর্মেন্দ্র, করলেন সুপারহিট বাংলা সিনেমাও, কে সেই হিরোইন?

ঠিক সেই সময় বাংলা সিনেমার এক নায়িকার কাছ থেকে ফোন পেয়ে, দ্রুত কলকাতা উড়ে এসেছিলেন ধর্মেন্দ্র। নায়িকার এককথাতেই রাজি হয়ে যান ছবি করতে। সেই ছবি হয় সুপারহিট।

নায়িকার এক ফোনেই কলকাতায় ছুটে এলেন ধর্মেন্দ্র, করলেন সুপারহিট বাংলা সিনেমাও, কে সেই হিরোইন?

|

May 19, 2025 | 8:05 PM

সময়টা ছয়ের দশক। বলিউডের ধর্মেন্দ্র তখন হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। সুঠাম চেহারার পর্দা কাঁপানো হিরো। সেই ধর্মেন্দ্রকে নায়ক বানানোর জন্য প্রযোজকরা লাইন দিতেন বাড়ির সামনে। ঠিক সেই সময় বাংলা সিনেমার এক নায়িকার কাছ থেকে ফোন পেয়ে, দ্রুত কলকাতা উড়ে এসেছিলেন ধর্মেন্দ্র। নায়িকার এককথাতেই রাজি হয়ে যান ছবি করতে। সেই ছবি হয় সুপারহিট। সেই ছবির হাত ধরেই কলকাতা তথা বাংলার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন বলিউডি নায়ক। নাহ, সেই নায়িকা সুচিত্রা সেন নয়, বরং টলিপাড়ার আরেক সুন্দরী।

১৯৬৬ সালে পরিচালক জগ্গনাথ চট্টোপাধ্যায় একটি বাংলা ছবি তৈরির প্ল্যান করছিলেন। ছবির নাম পাড়ি। সেই ছবির প্রযোজনা করেছিলেন বাংলা ছবি হানাবাড়ি খ্যাত অভিনেত্রী প্রণতি ঘোষ। সেই ঠিক করলেন দিলীপ কুমার ও ধর্মেন্দ্রকে একসঙ্গে পর্দায় নিয়ে আসবেন। তাও আবার বাংলা ছবিতে। মুম্বইয়ে গিয়ে প্রথমে দিলীপ কুমার রাজি করালেন প্রণতি। তার ধর্মেন্দ্রকে ফোনে জানালেন এই ছবির কথা। প্রণতির থেকে বাংলা ছবির অফার পেয়ে প্রথমেই রাজি হয়ে যান ধর্মেন্দ্র। তারপর দিলীপ কুমার, ধর্মেন্দ্র কলকাতায় এসে শুরু করলেন ছবির শুটিং। এই ছবির নায়িকাও ছিলেন প্রণতি।

পাড়ি মুক্তি পাওয়ার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। বাংলা ছবিতেও দুরন্ত অভিনয়ে সবার মন জয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র ও দিলীপ কুমার। বক্স অফিসেও সুপারহিট এই ছবি। পরে সেই ছবি তৈরি হয় হিন্দিতেও। নাম আনোখা মিলন।

এক বিনোদনমূলক পত্রিকা থেকে জানা যায়, বাংলা ছবিতে অভিনয় করে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকেও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ট্য়ালেন্টেড লোক বেশি। এমনকী, এই ছবির পরে তিনি বাংলা ছবিতে অভিনয় করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন।