
নায়কের পার্টি না করলে দিন ভাল যেত না। তাঁর বান্ধবী ছিল একডজন। রঙিন জীবন যাকে বলে, তাঁর জীবন ঠিক তেমনই। কিন্তু নায়কের জীবনে প্রেম এসেছিল দুবার। প্রথম প্রেমিকার নাম সুন্দরী। আর দ্বিতীয় প্রেমিকার নাম জ্যোতিকা। প্রথম প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ালেও, দ্বিতীয়টা প্রেমেই আটকে ছিল। আর দ্বিতীয় প্রেমের কারণেই, ২০ বছর পর বিয়েটা ভাঙে। কার কথা হচ্ছে? বলিউডের অন্যতম স্টাইলিশ নায়ক ফিরোজ খান। তাঁর রঙিন জীবন বরাবরই আকর্ষণ করে ফিল্মি দুনিয়াকে।
প্রথম থেকেই সিনেমায় অভিনয় করার ইচ্ছে ছিল ফিরোজের। তাই পড়াশুনো শেষ করে বলিউডে পা দেন। প্রথম হিন্দি ছবি উঁচে লোগ। প্রথম ছবিতেই নজরপ কাড়েন ফিরোজ। এরপর একের পর এক আদমি অউর ইনসান মেলা, কুরবানি, জাবাজের মতো জনপ্রিয় ছবি।
স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে ফিরোজ খান।
বলিউডে যখন একনম্বর নায়ক ঠিক সেই সময়ই সুন্দরী নামের সিঙ্গল মাদারকে বিয়ে করেন ফিরোজ খান। ভালই চলছিল তাঁদের সংসার। হঠাৎই ফিরোজের জীবনে আসে এয়ারহোস্টেস জ্যোতিকা। প্রথম দেখাতেই প্রেম হয় তাঁদের। বেঙালুরুতে থাকতেন জ্যোতিকা। কখনও মুম্বই তো, কখনও বেঙালুরুতে উড়ে যেতেন প্রেমের টানে।
জ্যোতিকা চাইতেন ফিরোজ তাঁকে বিয়ে করুক। কিন্তু সরোজ চাইতেন না। তিনি চাইতেন লিভ ইন রিলেশনশিপ। তারপর একদিন ফিরোজের স্ত্রী সুন্দরী জানতে পারেন সবটা। রাতারাতিই ঠিক করে নেন ফিরোজকে ডিভোর্স দেবেন। ঘটলও তা। ১৯৮৫ সালে সুন্দরীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙল ফিরোজের । শোনা যায় এরপর সেই বিমানসেবিকার সঙ্গেই থাকতেন ফিরোজ।