AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মা যৌনকর্মী, মেয়ে বলিউউের নম্বর ওয়ান নায়িকা, একটা ভুলেই তছনছ হয়ে যায় জীবন!

কোনও কোনও তারকাদের জীবনটা সিনেমার চিত্রনাট্য থেকে কম কিছু নয়। সিনেমার গল্পের মতো অবিরাম সংগ্রাম। জীবনের কিছুটা ভালো অধ্যায়। আর শেষাংশে হয়তো মধুর সমাপ্তি।

মা যৌনকর্মী, মেয়ে বলিউউের নম্বর ওয়ান নায়িকা, একটা ভুলেই তছনছ হয়ে যায় জীবন!
| Updated on: Apr 15, 2025 | 3:55 PM
Share

কোনও কোনও তারকাদের জীবনটা সিনেমার চিত্রনাট্য থেকে কম কিছু নয়। সিনেমার গল্পের মতো অবিরাম সংগ্রাম। জীবনের কিছুটা ভালো অধ্যায়। আর শেষে হয়তো মধুর সমাপ্তি। কিন্তু এক সময়ের বলিউডের এক নম্বর নায়িকা নবাব বানোর জীবনটা সংগ্রামের পর এক উজ্জ্বল আলোময় হলেও, শেষটা মোটেই মধুর ছিল না। মাত্র একটা ভুলেই সব তছনছ হয়ে যায়। ভাবছেন কে এই নবাব বানো?

নবাব বানো, মা-বাবা এই নামই দিয়েছিলেন তাঁর। তবে সিনেমায় পা রাখার পর, বানো থেকে তিনি হন নিম্মি। সময়টা পাঁচের দশক।

রাজ কাপুরের প্রিয় অভিনেত্রীর মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই নিম্মি। শোনা যায়, নার্গিসের আগে, নিম্মির প্রেমেই পড়েছিলেন রাজ কাপুর। বরসাত ছবিতে নার্গিসের পাশাপাশি নিম্মিও নজর কেড়েছিলেন। তবে শুধুই রাজ কাপুর নন, দিলীপ কুমারের সঙ্গে নিম্মির জুটি ছিল সুপারহিট। বলিউডে প্রায় ৫০ টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নিম্মি। সেই সময় অন্য়ান্য নায়িকার থেকে বেশি পারিশ্রমিকও পেতেন নায়িকা। কিন্তু হঠাৎই এমন এক ভুল করে ফেলেন, যে রাতারাতিই নিম্মির জনপ্রিয়তা পড়তে থাকে।

নিম্মির মা ছিলেন সেই সময়কার নাম করা বাঈজি। সেই সময়কার ফিল্ম সমালোচকদের নানা প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল, নিম্মির মা ওয়াহিদান গায়িকা ও অভিনেত্রীও ছিলেন। তবে শোনা যায়, দেহব্যবসার সঙ্গেও নাকি যোগ ছিল তাঁর। তবে মেয়েকে খুব যত্ন করেই বড় করেছিলেন ওয়াহিদান। তিনি চেয়েছিলেন মেয়ে অভিনেত্রী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠীত হোক। সেই মা-ই হাত ধরেই সিনেমায় আসেন নিম্মি। নিম্মির বাবা কাজ করতেন সেনাবাহিনীতে।

সালটা ১৯৩০। পরিচালক মেহেবুব খানের সঙ্গে নিম্মির মায়ের বন্ধুত্ব থাকায়, তাঁকে মেয়ের অভিনয়ের কথা বলেন। নিম্মিকে শুটিং ফ্লোরে ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় রাজ কাপুর আন্দাজ ছবির শুটিং করছিলেন। নিম্মির দিকে নজর যায় রাজের। সঙ্গে সঙ্গে বরসাত ছবির জন্য নিম্মিকে সই করিয়ে ফেলেন রাজ। এই ছবিতে প্রেমনাথের বিপরীতে নিম্মির অভিনয় প্রশংসা পায়। এরপর বহু ছবিতেই নিম্মি অফার পান। রাতারাতিই বলিউডের সেলিব্রিটি হয়ে যান তিনি।

সালটা ১৯৬৩। এই সময়ই বড় ভুল করে বসেন নিম্মি। মেরে মেহেবুব ছবিতে রাজেন্দ্র কুমারের বিপরীতে নায়িকার চরিত্রের অফার পেয়েও, সেই অফার নেননি। উলটে নায়কের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন। নিম্মির জায়গায় আসেন সাধনা। ছবি দারুণ হিট হয়। সাধনার কেরিয়ার গ্রাফও রাতারাতি পালটে যায়। কিন্তু নিম্মির এই ভুলই তাঁর কেরিয়ার ও জীবনকে তছনছ করে দেয়। এর পরে অনেক ছবিই করেছেন। তবে নায়িকা হিসেবে নিম্মি খুব একটা নজর কাড়েননি। বরং পার্শ্ব চরিত্রেই একের পর এক ছবি করে গিয়েছেন। তারপর থেকে শত চেষ্টা করলেও,  নায়িকা হয়ে ওঠা হয়নি তাঁর। এরপর জনপ্রিয় লেখক আলী রাজার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সংসারে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে ছবি থেকে দূরে সরে যান। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শেষ নিশ্বাস ত্য়াগ করেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। বয়স হয়েছিল ৮৮।