বিয়ে করেও জোটেনি সুখ, স্বামীর ‘রক্ষিতা’ হয়েই থেকে গেলেন সত্যজিতের স্বপ্নসুন্দরী

আকাশ মিশ্র |

Mar 14, 2025 | 5:54 PM

সত্যজিৎ রায় একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সুন্দরী নায়িকা হলেন জয়াপ্রদা। ইচ্ছা থাকলেও জয়াকে নিয়ে, সত্যজিত ছবি তৈরি করার সুযোগ পাননি। কিন্তু বরাবরই সত্যজিতের কাছে জয়াপ্রদা ছিলেন স্বপ্নসুন্দরী। তবে সেই স্বপ্নসুন্দরীর ব্যক্তিগত জীবনটা কিন্তু মোটেই সহজ নয়।

বিয়ে করেও জোটেনি সুখ, স্বামীর রক্ষিতা হয়েই থেকে গেলেন সত্যজিতের স্বপ্নসুন্দরী

Follow Us

সত্যজিৎ রায় একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সুন্দরী নায়িকা হলেন জয়াপ্রদা। ইচ্ছা থাকলেও জয়াকে নিয়ে, সত্যজিত ছবি তৈরি করার সুযোগ পাননি। কিন্তু বরাবরই সত্যজিতের কাছে জয়াপ্রদা ছিলেন স্বপ্নসুন্দরী। তবে সেই স্বপ্নসুন্দরীর ব্যক্তিগত জীবনটা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। বুকের ভিতর রাখা আপশোস, কষ্ট নিয়েও অনুরাগীদের কাছে হাসিখুশি জয়াপ্রদা। বলিউডের পর্দা থেকে অনেকদিন আগেই বেরিয়ে এসেছেন। কামব্যাকের কোনও সুযোগ আপাতত নেই। নিজের বোনের সন্তানকে দত্তক নিয়ে, জয়ার সংসার একেবারেই নিজের মতো করে সাজানো। কিন্তু এমনটা তিনি চাননি। বরং, চেয়েছিলেন স্বামী, সন্তান নিয়ে এক সুখের সংসার। যে সংসারে থাকবে শুধুই ভালোবাসা। চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু নিয়তি অন্যকিছু লিখেছিলেন তাঁর কপালে।

অনেক কম বয়সেই অভিনয়ের জগতে পা দেন জয়াপ্রদা। তবে হিন্দি ছবি নয়। দক্ষিণী ছবি থেকেই তাঁর সিনেমার যাত্রা শুরু। খুব কম বয়সেই কমল হাসান, রজনীকান্ত, শত্রুঘ্ন সিনহা, জীতেন্দ্র, ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ব্লকবাস্টার সব ছবি দিয়েছিলেন জয়া। শোনা যায়, সেই সময় বলিউডের অনেকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রীকে। কিন্তু ততদিনে জয়া মন দিয়েছিলেন প্রযোজক শ্রীকান্ত নাহাতেকে। প্রযোজক শ্রীকান্ত বিবাহিত ছিলেন। তাঁর ছিল দুই সন্তানও। কিন্তু জয়া তাঁর অন্ধপ্রেমে এসবকে উপেক্ষা করেছিলেন।

অন্যদিকে তখন শ্রীদেবী ও জয়ার পর্দায় জোর লড়াই। শুধু তাই নয়, সেই লড়াই ব্যক্তিগত পরিসরেও দেখা গিয়েছিল। অনেকে বলেন,শ্রীদেবীকে টেক্কা দিতেই নাকি প্রযোজকের সঙ্গে প্রেম করছিলেন জয়া।

ভালোবেসে শ্রীকান্তকে বিয়ে করলেন জয়া। তবে শ্রীকান্ত কিন্তু আগের স্ত্রীকে ছাড়লেন না। সেই সময়ের গসিপ ম্যাগাজিনে এসেছিল, শ্রীকান্ত নাকি জয়াকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিয়ে করলেও, জয়াকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবেন না। এমনকী, জয়া চাইলেও, সন্তানের সুখও দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন শ্রীকান্ত। সব জেনে শুনেও, শ্রীকান্তকে ভুলতে পারেননি জয়াপ্রদা। আপশোস, কষ্ট, বিরহ নিয়েই থেকে গিয়েছেন। সেই সময় জয়াপ্রদার নিন্দুকরা, তাঁর নামে নানারকম মন্তব্য করতেন। অনেকেই বলতেন, স্বপ্নসুন্দরীর জয়ার সংসারের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল, প্রযোজকের ‘রক্ষিতা’ হয়েই থেকে গিয়েছিলেন জয়া। আর তাই তো বোনের সন্তানকে দত্তক নিয়ে, নিজের মতো করে সংসার সাজিয়েছেন।  অভিনয় ছেড়ে জয়া এখন রাজনীতিতেও।  নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন নানা সামাজিক কাজে।

 

Next Article