তিনি মহাগুরু। তিনি সুপারস্টার। হ্যাঁ, মিঠুন চক্রবর্তী। পদ্ম সম্মানে ভূষিত ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা মিঠুন আজও পর্দায় এসে দাঁড়ালে সিনেমাহল জুড়ে হইচই, হাততালি। এখনও মিঠুনের ম্যাজিকে বাংলা ছবি, বক্স অফিস জয় করে। তা প্রজাপতি হোক কিংবা কাবুলিওয়ালা। এহেন দুনিয়া কাঁপানো অভিনেতাকে রোজ রোজ অপমান! তাও আবার স্টুডিও পাড়ায়! ঠিকই পড়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে এমনই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছিল হাঁটুর বয়সী শিশু অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিকের কাছে!
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। বেশ কয়েক বছর আগে এক জনপ্রিয় বেসরকারি চ্যানেলের এক নাচের রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে বসে, শিশু সঞ্চালক অরিত্র দত্ত বণিকের কাছে রোজ অপমানিত হতে হত মিঠুনকে। কিন্তু মিঠুন পাল্টা কিচ্ছুটি বলতেন না। গোটা স্টুডিওর সামনে যখন অরিত্র সুযোগ পেয়েই কটাক্ষ করতেন মিঠুনকে, তখন সবার মুখেই অট্টহাসি! কিন্তু মিঠুন স্পিক টি নট। মহাগুরুকে অপমান করে অরিত্র তখন মঞ্চের মহারাজা। অরিত্র এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বড়মাপের অভিনেতা, তথা বড় মাপের মানুষ হওয়ার কারণেই এই সাহসটা পেয়েছিলাম। মিঠুনের জায়গায় অন্য কেউ থাকলে, হয়তো বিষয়টা অন্যরকম হত। এই অপমান নিয়ে বলতে গিয়ে, মিঠুন অবশ্য অন্য কথাই বলেন। সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মহাগুরু ফাঁস করেন নেপথ্যের গল্প।
ঠিক কী ঘটেছিল?
মঞ্চে তখন নিজের ঢঙে ছোট্ট অরিত্র রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করছে। নানা কথার মধ্যে দিয়ে দর্শকদের মন জয় করছে। ঠিক তখনই অরিত্রর কথার মধ্যে ফোড়ন কাটলেন মিঠুন। অরিত্রর কথা শেষ হওয়ার আগেই, ডেকে নিলেন পরের প্রতিযোগীকে। ব্যস, মাথা গরম ছোট্ট অরিত্রর। ডান-বাঁ না ভেবে মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করে নানা কথা। নানা কটাক্ষ। ছোট্ট অরিত্রর এমন কাণ্ড দেখে, দর্শক তো হেসে কুপোকাত! দর্শকদের এমন রিয়্যাকশন খেয়াল করেন মিঠুন। তারপরেই শোয়ের পরিচালককে তিনি জানিয়ে দেন, এবার থেকে এমনটাই হবে। আমি স্টুডিওতে ঢুকলেই অরিত্র আমাকে অপমান করবে! মিঠুনের কথা শুনে পরিচালক প্রথমে তো অবাক। কিন্তু মহাগুরুর মহাশাসন! মিঠুন বুঝতে পেরেছিলেন, অরিত্রর সঙ্গে তাঁর এই বাকযুদ্ধ, ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের টিআরপির মূলমন্ত্র। হলও তাই। মিঠুন-অরিত্রর যুগলবন্দিতে হু হু করে বাড়তে শুরু করল জনপ্রিয়তা। কিন্তু হাঁটুর বয়সী বাচ্চার কাছে রোজ রোজ কটূ কথা শুনে খারাপ লাগত না মিঠুনের?
এর উত্তরে বিন্দাস মেজাজে মিঠুন জানান, ” অরিত্র নিজেই একজন দারুণ অভিনেতা। ও রেগেমেগে বলে তো দিয়েছিল, কিন্তু তার ফলে যা পাবলিক রিয়্যাকশন এসেছিল, ভাবা যায় না। আমি বললাম, এখন থেকে এটাই হবে। আর কিচ্ছু হবে না। আমি ফ্লোরে ঢুকব, আর অরিত্র আমাকে অপমান করবে। আমি যদি ভাবতাম, আমাকে অপমান করছে, আমি কাজ করব না! তাহলে শোটাই হত না।” সুপারস্টার মিঠুনের যে ভাবনা কতটা এগিয়ে, তিনি কতটা বিচক্ষণ , তা যেন আরও স্পষ্ট হল এমন ঘটনায়। এই কারণেই হয়তো তিনি আজও মহাগুরু। আর অন্যদিকে অরিত্রও আজ অনেক বড়। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর প্রচুর ফলোয়ার। রাজনীতি থেকে সিনেমা সব নিয়ে তুমুল চর্চায় সদা মেতে ওঠেন তিনি। তবুও মহাগুরুর সঙ্গে রিয়্যালিটি শোয়ে তাঁর মহাজোট আজও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে।
তথ্যসূত্র- artisticseventhsense
তিনি মহাগুরু। তিনি সুপারস্টার। হ্যাঁ, মিঠুন চক্রবর্তী। পদ্ম সম্মানে ভূষিত ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা মিঠুন আজও পর্দায় এসে দাঁড়ালে সিনেমাহল জুড়ে হইচই, হাততালি। এখনও মিঠুনের ম্যাজিকে বাংলা ছবি, বক্স অফিস জয় করে। তা প্রজাপতি হোক কিংবা কাবুলিওয়ালা। এহেন দুনিয়া কাঁপানো অভিনেতাকে রোজ রোজ অপমান! তাও আবার স্টুডিও পাড়ায়! ঠিকই পড়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে এমনই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছিল হাঁটুর বয়সী শিশু অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিকের কাছে!
ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। বেশ কয়েক বছর আগে এক জনপ্রিয় বেসরকারি চ্যানেলের এক নাচের রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে বসে, শিশু সঞ্চালক অরিত্র দত্ত বণিকের কাছে রোজ অপমানিত হতে হত মিঠুনকে। কিন্তু মিঠুন পাল্টা কিচ্ছুটি বলতেন না। গোটা স্টুডিওর সামনে যখন অরিত্র সুযোগ পেয়েই কটাক্ষ করতেন মিঠুনকে, তখন সবার মুখেই অট্টহাসি! কিন্তু মিঠুন স্পিক টি নট। মহাগুরুকে অপমান করে অরিত্র তখন মঞ্চের মহারাজা। অরিত্র এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বড়মাপের অভিনেতা, তথা বড় মাপের মানুষ হওয়ার কারণেই এই সাহসটা পেয়েছিলাম। মিঠুনের জায়গায় অন্য কেউ থাকলে, হয়তো বিষয়টা অন্যরকম হত। এই অপমান নিয়ে বলতে গিয়ে, মিঠুন অবশ্য অন্য কথাই বলেন। সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মহাগুরু ফাঁস করেন নেপথ্যের গল্প।
ঠিক কী ঘটেছিল?
মঞ্চে তখন নিজের ঢঙে ছোট্ট অরিত্র রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করছে। নানা কথার মধ্যে দিয়ে দর্শকদের মন জয় করছে। ঠিক তখনই অরিত্রর কথার মধ্যে ফোড়ন কাটলেন মিঠুন। অরিত্রর কথা শেষ হওয়ার আগেই, ডেকে নিলেন পরের প্রতিযোগীকে। ব্যস, মাথা গরম ছোট্ট অরিত্রর। ডান-বাঁ না ভেবে মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে বলতে শুরু করে নানা কথা। নানা কটাক্ষ। ছোট্ট অরিত্রর এমন কাণ্ড দেখে, দর্শক তো হেসে কুপোকাত! দর্শকদের এমন রিয়্যাকশন খেয়াল করেন মিঠুন। তারপরেই শোয়ের পরিচালককে তিনি জানিয়ে দেন, এবার থেকে এমনটাই হবে। আমি স্টুডিওতে ঢুকলেই অরিত্র আমাকে অপমান করবে! মিঠুনের কথা শুনে পরিচালক প্রথমে তো অবাক। কিন্তু মহাগুরুর মহাশাসন! মিঠুন বুঝতে পেরেছিলেন, অরিত্রর সঙ্গে তাঁর এই বাকযুদ্ধ, ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের টিআরপির মূলমন্ত্র। হলও তাই। মিঠুন-অরিত্রর যুগলবন্দিতে হু হু করে বাড়তে শুরু করল জনপ্রিয়তা। কিন্তু হাঁটুর বয়সী বাচ্চার কাছে রোজ রোজ কটূ কথা শুনে খারাপ লাগত না মিঠুনের?
এর উত্তরে বিন্দাস মেজাজে মিঠুন জানান, ” অরিত্র নিজেই একজন দারুণ অভিনেতা। ও রেগেমেগে বলে তো দিয়েছিল, কিন্তু তার ফলে যা পাবলিক রিয়্যাকশন এসেছিল, ভাবা যায় না। আমি বললাম, এখন থেকে এটাই হবে। আর কিচ্ছু হবে না। আমি ফ্লোরে ঢুকব, আর অরিত্র আমাকে অপমান করবে। আমি যদি ভাবতাম, আমাকে অপমান করছে, আমি কাজ করব না! তাহলে শোটাই হত না।” সুপারস্টার মিঠুনের যে ভাবনা কতটা এগিয়ে, তিনি কতটা বিচক্ষণ , তা যেন আরও স্পষ্ট হল এমন ঘটনায়। এই কারণেই হয়তো তিনি আজও মহাগুরু। আর অন্যদিকে অরিত্রও আজ অনেক বড়। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর প্রচুর ফলোয়ার। রাজনীতি থেকে সিনেমা সব নিয়ে তুমুল চর্চায় সদা মেতে ওঠেন তিনি। তবুও মহাগুরুর সঙ্গে রিয়্যালিটি শোয়ে তাঁর মহাজোট আজও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে।
তথ্যসূত্র- artisticseventhsense