
সালটা ১৯৭৩। মুক্তি পায় সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী ছবি অশনি সংকেত। সৌমিত্রর পাশাপাশি যাকে নিয়ে এই বাংলায় সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়, তিনি হলেন সত্যজিতের খোঁজ বাংলাদেশের অভিনেত্রী ববিতা। তাঁর অভিনয় শুধু দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়নি, সমালোচকরাই উচ্চ প্রশংসা করেছিল। এমনকী, খোদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও ববিতার দুরন্ত অভিনয় দেখে হতবাক হয়েছিলেন। কিন্তু ববিতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে ছিলেন, একটি দৃশ্যের শুটিংয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় না থাকলে, তাঁর অভিনয় করাই হত না!
সত্যজিতের চিত্রনাট্য অনুযায়ী, ‘অশনি সংকেত’ ছবির একটি দৃশ্যে স্নান করে এসে ভেজা কাপড়েই সৌমিত্রর বুকে পড়ে কাঁদতে হত ববিতাকে। ববিতা কিছুতেই সেই দৃশ্যটা করার সাহস করতে পারছিলেন না। তার উপর সত্যজিতের কড়া নির্দেশ, কান্নার জন্য গ্লিসারিন ব্যবহার করা যাবে না। কান্না হতে হবে একেবারে রিয়েল। ঠিক সেই সময়ই সহজ সমাধান নিয়ে এলেন সৌমিত্র।
ববিতা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমার টেনশন দেখে সৌমিত্রবাবু এগিয়ে এসে বললেন, বেশি ভাবতে হবে না। যখন তুমি আমার বুকের কাছে আসবে, জীবনের সবচেয়ে রাগ এবং দুঃখের ঘটনা মনে করবে। দেখবে চোখে সহজেই জল চলে আসবে। সৌমিত্রবাবুর সেই কথা মেনেই দৃশ্যতে অভিনয় করলাম। আমার কান্না দেখে সত্যজিৎ রায় বলে উঠেছিলেন অপূর্ব!