
১৯৭৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল সুচিত্রা সেনের প্রণয় পাশা। সৌমিত্রর সঙ্গে জুটি বেঁধে সেই ছবি সে সময় দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি। ফলাফল বক্স অফিসে একেবারে মুখ থুবরে পড়েছিল। প্রণয় পাশা ফ্লপ হওয়ায় খুব আঘাত পেয়েছিলেন সুচিত্রা। অনেক ফিল্ম সমালোচকরা মনে করেন, এই আঘাতের কারণেই নিজেকে রুপোলি পর্দা থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন মহানায়িকা। তবে ঘনিষ্ঠদের কথায়, সুচিত্রা নাকি প্রণয় পাশা ছবির বহু আগেই ঠিক করে ফেলেছিলেন স্পটলাইটের ঝলকানি থেকে দূরে সরে নিজেকে আধ্যাত্মিকতার আলোতে আলোকিত করবেন। সেই প্রচেষ্টাও শুরু করে দিয়েছিলেন মহানায়িকা। আর সেই কারণেই নিত্য ছিল তাঁর রামকৃষ্ণ মিশন, বেলুড় মঠে যাতায়াত। রামকৃষ্ণ ও সারদাদেবীর দর্শনেই শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন সুচিত্রা। ঘনিষ্ঠদের বার বার বলতেন, অশান্ত মনকে শান্ত করার জন্য সারদাদেবীর হাত ধরতেই হবে।
সময়টা ২০১২ সাল। সুচিত্রা তখন বেশ অসুস্থ। কিন্তু মানসিক শান্তির জন্য মঠে যাওয়া ত্যাগ করেননি। ঠিক এমনই দিনে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। সুচিত্রা নিজেকে অন্তরালে রাখায়, তাঁকে বৃদ্ধা বয়সে কেমন দেখতে হয়েছিল, তা অনুরাগীদের দেখা হয়ে ওঠেনি। আর সেই কারণেই সুচিত্রার সঙ্গে ঘটে এই ঘটনা।
ঠিক কী ঘটেছিল?
সেই সময় এক বিনোদনমূলক পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০১২ সালের গরমকালে একদিন সন্ধ্যা নাগাদ মঠে হাজির হয়েছিলেন সুচিত্রা। মহানায়িকাকে বৃদ্ধা রূপে দেখে দারোয়ান চিনতে পারেননি। ফলে তাঁকে মঠের মন্দিরে ঢুকতে দেয়নি দারোয়ান। সুচিত্রার মুখের উপর বন্ধ করে দিয়েছিলেন দরজা। পরে অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দেন মঠের মহারাজ। তিনি এসে সুচিত্রাকে ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলেন। দারোয়ানের এমন ব্যবহারে সুচিত্রা কিন্তু মোটেই রেগেই যাননি। কারণ তিনি বুঝে ছিলেন, দারোয়ান তাঁকে চিনতে না পেরেই এমনটি করেছেন। জানা যায়, সেদিন অনেকটা সময় মঠের ভিতরে সারাদাদেবীর মন্দিরেই কাটিয়ে ছিলেন মহানায়িকা। ধ্যান করেছিলেন বহু সময় ধরে।