উত্তমের কথাতেই প্রথমবার মদের গ্লাস হাতে তুললেন সাবিত্রী, হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন, তারপর…

সাবিত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে টেক্কা দেওয়া সহজ কাজ নয়। উত্তম কুমার তাঁর নায়ক হলেও, ব্যক্তিগত জীবনে সাবিত্রীর সঙ্গে এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেই সময় নানা ম্য়াগাজিনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সাবিত্রী নাকি উত্তমের প্রেমে এতটাই মজে ছিলেন যে অন্য কিছুই তাঁর চোখে পড়ত না।

উত্তমের কথাতেই প্রথমবার মদের গ্লাস হাতে তুললেন সাবিত্রী, হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন, তারপর...

|

Apr 22, 2025 | 2:27 PM

সুচিত্রা, সুপ্রিয়ার পাশাপাশি উত্তমের বিপরীতে যে নায়িকা নিজের ম্যাজিককে সদা অক্ষুন্ন রেখেছিলেন তিনি হলেন বাংলার আরেক কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। কমেডি হোক বা সিরিয়াস। সবেতেই সাবিত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে টেক্কা দেওয়া সহজ কাজ নয়। একথাটা স্বীকীর করেছিলেন খোদ উত্তম কুমারও। উত্তম তাঁর নায়ক হলেও, ব্যক্তিগত জীবনে সাবিত্রীর সঙ্গে এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেই সময় নানা ম্য়াগাজিনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সাবিত্রী নাকি উত্তমের প্রেমে এতটাই মজে ছিলেন যে অন্য কিছুই তাঁর চোখে পড়ত না। এমনকী, অনেকেই বলে থাকেন, উত্তমের প্রতি তাঁর ভালবাসাকে সম্মান দিতেই সাবিত্রী সারাজীবন সঙ্গীহীন থেকে গেলেন।

সাবিত্রী তাঁর আত্মজীবনী মূলক বইয়ে উত্তমকে নিয়ে নানা কথা লিখেছিলেন। আর সেই বইয়ে উল্লেখিত একটি ঘটনাই সাবিত্রী অনুরাগীদের চমকে দেয়।

সাবিত্রী আত্মজীবনীতে জানিয়েছেন, উত্তম কুমারই প্রথম তাঁকে মদ্যপান করা শিখিয়েছেন। তবে তা ছিল খুবই পরিমিত। বাবার কড়া শাসনের কারণে বাড়ির বাইরেই পরিমিত মদ্যপান চলত সাবিত্রীর। কিন্তু বাবা শশধর চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর সাবিত্রীর মদ্যপান বেড়ে যায়। প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন। সারাক্ষণই কাঁদতেন। সেই সময় থেকেই মদ্যপানের নেশা আরও বেড়ে যায়। সাবিত্রী তাঁর আত্মজীবনী সত্যি সাবিত্রীতে লিখেছেন, বাবা চলে যাওয়ার শোক আমায় দিয়ে। মদ খাওয়াটা অভ্যাস করে ফেললাম। তবে আমি মনের শাসনে চলি। যদি মন না চায় একেবারেই মদ ছুঁয়ে দেখি না।

সাবিত্রী আরও লিখলেন, একদিন দেখলাম এবং বুঝতে শিখলাম হাজার মানুষের ভিড়ে আমার চারপাশটা শূন্য। নিজের বলতে কেউ নেই। সেই দিন থেকেই মদ আমার নিত্য সঙ্গী। কিন্তু চিরকাল আমি মদ খেয়েছি, মদ আমাকে খেতে পারেনি। আর মদ খেয়ে কখনই বেলেল্লাপনা করিনি। আজও যদি মনের মতো কোনও সঙ্গী পাই, বন্ধু পাই, মদ প্রয়োজন পড়ে না।

তথ্যসূত্র- সত্যি সাবিত্রী