উত্তম খেতেন হুইস্কি, তবে সৌমিত্রকে ধরালেন অন্য নেশা! শুটিং ফ্লোরে এরপর যা ঘটেছিল তা অকল্পনীয়

এক সময় শোনা যেত, সৌমিত্র ও উত্তমের মধ্য়েও নাকি হামেশাই চলত ঠান্ডা লড়াই। তবে এক সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র জানিয়ে ছিলেন, উত্তমকে দাদা বলে ডাকতেন। প্রয়োজনে উত্তমের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে আলোচনাতেও বসতেন সৌমিত্র।

উত্তম খেতেন হুইস্কি, তবে সৌমিত্রকে ধরালেন অন্য নেশা! শুটিং ফ্লোরে এরপর যা ঘটেছিল তা অকল্পনীয়

|

Apr 21, 2025 | 6:33 PM

উত্তম নাকি সৌমিত্র! বাঙালি প্রথম থেকেই এই দুই নায়ককে নিয়ে তড়জায় মেতে ওঠেন। দুই নায়কের অনুরাগীদের মধ্য়ে চলে তর্ক-বিতর্ক। এমনকী, এক সময় শোনা যেত, সৌমিত্র ও উত্তমের মধ্য়েও নাকি হামেশাই চলত ঠান্ডা লড়াই। তবে এক সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র জানিয়ে ছিলেন,  গভীর বন্ধুত্ব না থাকলেও, উত্তমকে দাদা বলে ডাকতেন। প্রয়োজনে উত্তমের সঙ্গে সিনেমা নিয়ে আলোচনাতেও বসতেন সৌমিত্র।

সেই সময়কার এক বিখ্যাত বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তম বরাবরই শুটিং ফ্লোরে এক মজার পরিবেশ তৈরি করতেন। পরিচালক থেকে স্পট বয়। উত্তমের চোখে সবাই সমান। মহানায়ক হলেও, তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। শোনা যায়, শুটিংয়ের পরে ফ্লোরের সবাইকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডায় মেতে উঠতেন উত্তম।

সময়টা ছয়ের দশক। তপন সিনহা তৈরি করছেন ঝিন্দের বন্দী। পর্দায় প্রথমবার উত্তম-সৌমিত্র জুটি। উত্তমের সঙ্গে সৌমিত্র প্রথম সাক্ষাৎ এই ছবির শুটিং ফ্লোরেই। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র বলেছিলেন, উত্তমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা শুরু হয় ঝিন্দের বন্দী ছবির আউটডোর শুটিংয়েই।

এই ছবির শুটিং ফ্লোরেই একটা মজার কাণ্ড ঘটেছিল সৌমিত্রর সঙ্গে। শুটিং শেষে আড্ডায় বসেছেন উত্তম, সৌমিত্ররা। উত্তমের হাতে হুইসকির গ্লাস। আর সৌমিত্রকে ব্র্য়ান্ডির গ্লাস এগিয়ে দিলেন মহানায়ক। এক সাক্ষাৎকারে সৌমিত্র বলেছিলেন, উত্তম হুইস্কি খেতে ভালবাসতেন। হুইসকিটাই খেতে দেখতাম। কিন্তি আমাকে ব্র্য়ান্ডি খাওয়াতেন। ওঁর কাছ থেকেই ব্র্য়ান্ডি খাওয়া শিখেছি। একটাই কথা বলতেন, ক্ল্যারেট ফর লেডিজ, শেরি ফর উইম্যান, ব্র্যান্ডি ফর হিরোজ। তারপর থেকে আমি ব্র্য়ান্ডিই বেশি খাই।

১৯৬১ সালে মুক্তি পায় ঝিন্দের বন্দী। ছবিতে উত্তমের পাশে অ্যান্টি হিরো হয়েও নজর কাড়েন সৌমিত্র। পর্দায় উত্তম-সৌমিত্রর মারাকাটারি অভিনয় হইচই ফেলে দিয়েছিল।