
বলিউডের ব্লকবাস্টার বেশকিছু ছবির মধ্যে অন্যতম ছবি ডন। এই ছবির সাফল্যের পর যেমন অন্যান্য ভাষায় রিমেক হয়েছে , তেমন হিন্দিতে পরবর্তী সময়ে এই ছবিকে রিমেক করে সিকোয়েল তৈরি হয়েছে। অমিতাভ বচ্চন অরিজিনাল ডন ছবির নায়ক। তবে পরবর্তী সময়ে হিন্দিতে শাহরুখ খানকে ডনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। খবর অনুযায়ী আগামীতে আবার ডন রিমেক হবে। সেখানে ডনের চরিত্রে দেখা যাবে রণবীর সিংকে। এসবই দর্শকদের জানা , তবে দর্শকরা প্রায় কেউ জানেন না এই কাল্ট ছবি তৈরির আগে অনেক ঝড় ঝাপটা সহ্য করেছে। এমনকি এই ছবি অর্ধেক তৈরি হয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, কারণ এই ছবির প্রযোজকের আকস্মিক মৃত্যু। সম্প্রতি একটি বিনোদন মূলক পডকাস্ট এই অজানা গল্প জানা যায়।
বলিউডের নামকরা সিনেমাটৌ গ্রাফার ও প্রযোজক নরিমান ইরানীর নাম সকলের জানা। তিনি একটি ছবি তৈরি করেছিলেন নাম জিন্দেগি জিন্দেগি। যেটা সুপার ফ্লপ হয়, ক্ষতির মুখে পড়েন প্রযোজক। তখন তাঁর বন্ধু বিখ্যাত অভিনেতা মনোজ কুমার প্রযোজককে উপদেশ দেন এই ক্ষতিপূরণ হতে পারে যদি তিনি আরও একটা ছবি করেন। একটি ভাল গল্প আছে, যেটা লিখেছেন সেলিম জাভেদ জুটি । সেই ছবি হল ‘ডন’ । পরিচালনার দায়িত্বে রাখতে বলেন সহযোগী পরিচালক চন্দ্র ব্যারটকে। তবে সেই সময় প্রায় সব এক নম্বর অভিনেতারা এই ছবিটিতে অভিনয় করতে মানা করে দেয়। অবশেষে অমিতাভ বচ্চন ও জিনাত আমন রাজি হন। ছবির শুটিংয়ের কাজ শুরু হয়, তবে আর্থিক কারণে ছবির কাজ বন্ধ হওয়ার পথে, এমন সময় বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে রাজি হয়। এর কিছুদিন পরেই এই ছবির প্রযোজক নরিমান ইরানীর আকস্মিক মৃত্যু হয়। টাকা পয়সা না থাকায় ছবি বন্ধ হয়ে যায়। খবর শোনা মাত্র আবার হস্তক্ষেপ করেন মনোজ কুমার। তখন এই ছবির অভিনেতা থেকে কলাকুশলীরা বিনা পারিশ্রমিকে এই ছবির কাজ শেষ করে ছবিটি মুক্তির ব্যবস্থা করেন, একই সময়ে মুক্তি পেয়েছিল অমিতাভ অভিনীত আরও একটি ছবি ত্রিশূল। পয়সা না থাকার কারণে সেভাবে প্রচার করা যায়নি ডন ছবির। স্বাভাবিক ভাবে প্রথম দুদিনে বক্স অফিস রেজাল্ট সুখের হয়নি। ছবিটি চলছিল না। এই খবর পাওয়ার পর ছবিটি দেখেন মনোজ কুমার। তিনি বলেন ছবির দ্বিতীয় অর্ধে একটি গান যোগ করতে হবে। এরপর কিশোর কুমারের গলায় রেকর্ড হয় ‘খাইকে পান বেনারসওয়ালা’। কদিন যেতেই গানটি লোকমুখে ঘুরতে থাকে, এবং সেখান থেকেই ছবি দর্শকদের হলে টানতে সমর্থ হয়। এর পর ডন একটি কাল্ট ছবিতে পরিণত হয়। এই ছবির পর,থেকেই অমিতাভ বচ্চনকে বক্স অফিসের ডন বলার চল শুরু হয়।