তাঁকে খুব একটা কোথাও আজকাল দেখা যায় না। না বড় পর্দায়, না টেলিভিশনে। এমনকী তিনি আজকাল গানও তেমন গান না। অনেকটাই আড়ালে চলে গিয়েছেন তিনি। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল পরিচালক রেশমি মিত্রর ‘লাইম লাইট’ ছবিতে। তিনি অর্জুন চক্রবর্তী।
বেশ কয়েক বছর বিরতির পর অর্জুন চক্রবর্তী ‘কামব্যাক’ করছেন ওয়েব সিরিজের হাত ধরে। ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করছেন আরও একজন প্রবীণ পরিচালক তপন সাহা। তিনিও বহু বছর পর আবার পরিচালকের আসনে। ওয়েব সিরিজটি একটি থ্রিলার। নাম ‘ট্র্যাপ’। এই ‘ট্র্যাপ’-এ পড়েই ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন প্রবীণ অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। একজন ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।
অর্জুন চক্রবর্তীর সিনেমা-জীবন শুরু সহ-পরিচালক হিসাবে। তিনি বহু বছর গুলজারের সহ-পরিচালক ছিলেন। গুলজার, মৃণাল সেন, তপন সিনহার মত তাবড় তাবড় পরিচালকের ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। যাঁর সিনেমা-জীবন শুরু এঁদের হাত ধরে, তিনি এত কম ছবি করেন কেন? নিজেকে কি গুটিয়ে নিলেন? “না, গুটিয়ে আমি নিজেকে নিইনি। কাজ করার আগ্রহ আমার এখনও আছে। কেউ ভাল কাজের অফার নিয়ে এলে আমি অবশ্যই করব। কিন্তু এই কাজ করার আগ্রহের সঙ্গে আমার একটা আত্মসম্মান বোধও আছে। আমি কাজ পাওয়ার জন্য কোনও ‘ক্য়াম্প’-এ যোগ দিতে পারব না। এই কারণে হয়ত অনেকেই ভাবেন আমি খুব দাম্ভিক। কিন্তু না, আমার কোনও দম্ভ নেই, কিন্তু আমার একটা অহংকার আছে। আমি হাঁড়ি চড়িয়ে সিনেমা করতে আসেনি। আমার জীবনে খুব একটা চাহিদাও নেই। যিনি আমায় ভাল কাজের জন্য ডাকবেন, আমি নিশ্চয়ই করব। কিন্তু নিজে যেচে কাজ চাইতে পারব না। এই অহংকার করার অধিকার আমার আছে।”, স্পষ্ট জবাব অর্জুন চক্রবর্তীর।
বহু বছর পর পরিচালক তপন সাহার সঙ্গে কাজ করলেন অর্জুন চক্রবর্তী। ‘আলিঙ্গন’, ‘আপন পর’-এর মত অনেক সুপারহিট ছবির পরিচালক তিনি। বেশ কয়েক বছর আগে স্মৃতি ইরানিকে নিয়ে তিনি বানিয়ে ছিলেন ‘অমৃতা’। ‘ট্র্যাপ’-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে অর্জুন চক্রবর্তী বলেন, “আমি যখন গুলজার সাবের সঙ্গে সহ-পরিচালক হিসাবে কাজ করছি, তখন থেকে আমি তপন সাহাকে চিনি। একটা দারুণ চরিত্র তিনি আমায় অফার করেছেন। এই সিরিজে আমি একজন ডাক্তার। কিন্তু রোলটা আমার ডিটেকটিভ-এর মত। একটা খুনকে কেন্দ্র করে গল্প। সেই খুনের অনেক কিছুই আমি জেনে ফেলি। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে এমন চরিত্র আমি আগে করিনি।”
৯টা এপিসোড নিয়ে তৈরি হচ্ছে ‘ট্র্যাপ’। সিরিজে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন শিব রায়চৌধুরী, পায়েল মুখোপাধ্যায় এবং সৃজনী মিত্র। একজন সি আই ডি-র চরিত্রে অভিনয় করছেন দেবলীনা দত্ত মুখোপাধ্যায়। শুটিং অভিজ্ঞতা নিয়ে শিব বলেন, “আমরা কালিম্পংয়ে শুটিং করেছি। কয়েক দিন আগেই শুটিং শেষ হয়েছে। ওখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা। আমাদের রোজ সকাল ৬টায় কল-টাইম থাকত। গরম জল খেয়ে খেয়ে শুটিং করতাম। তবে খুব মজা করে শুটিং করেছি আমরা।”
আরও পড়ুন :সবাই উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছে, জড়িয়ে ধরে বলছে, ‘কতটা মিস করেছি জানো?’: ঐন্দ্রিলা শর্মা
শুটিংয়ের কিছুটা এখনও বাকি। সেই শুটিং হবে কলকাতাতেই। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সিরিজটি এপ্রিল মাসে স্ট্রিমিং হবে ‘ক্লিক’-এ।