অসুস্থ প্রভাত রায়। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। বিগত ৬ দিন ধরে টালিগঞ্জের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীণ পরিচালক। সেই হাসপাতালের মেডিকেল টিম প্রভাত রায়কে এক নির্দিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। খবরটি জানিয়েছেন প্রভাত রায়ের কন্যা সমা পোস্টার ডিজ়াইনার একতা ভট্টাচার্য।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪) রাত ১০টায় একটি বিবৃতি প্রভাত রায় সম্পর্ক একতা লিখেছেন, “সকলকে জানাচ্ছি যে, আমার বাবি শ্রী প্রভাত রায় কলকাতারই এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিগত ৬ দিন। মারাত্মক ঠান্ডা লেগেছে তাঁর। সেই সঙ্গে রয়েছে অসম্ভব শ্বাসকষ্টের সমস্যা। কিডনির ব্যাধি নিয়ে দীর্ঘদিন ভুগছেন তিনি। ক্রিয়েটেনাইন মাত্রা বাড়ছে হুহু করে। সরকারি হাসপাতালে বাবির মেডিকেল টিম পরামর্শ দিয়েছিল তাঁকে যেন আমরা কলকাতার এক নির্দিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাই। তাঁদের কথা মতোই সেই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাবিকে। সেখানকার চিকিৎসকেরা আজ থেকে বাবির ডায়ালিসিস শুরু করেছেন। তিনি এখন অনেকটাই ভাল আছেন। বাবির এটা অনুরোধ ছিল, যাতে এই অসুস্থতার খবর আপনাদের থেকে গোপন রাখি। সামনেই তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশ পাবে। সেই তারিখও আমরা বদলাইনি। সকলের কাছে অনুরোধ, আপনারা সকলে বাবির দ্রুত আরোগ্য কামনা করুন।”
১৯৭০ সাল থেকে টালিগঞ্জের সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত প্রভাত রায়। সেই সময় তিনি কাজ শুরু করেছিলেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। ‘প্রতিদান’ তাঁর প্রথম পরিচালিত ছবি। অপর্ণা সেন, সব্যসাচী চক্রবর্তীদের মতো অভিনেতাদের নিয়ে তৈরি করেন ‘শ্বেত পাথরের তালা’। সেই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন প্রভাত রায়। অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি করে ‘লাঠি’র মতো ছবি। সেই ছবিও জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্রচণ্ড একা হয়ে গিয়েছিলেন প্রভাত রায়। নিজেকে সম্পূর্ণভাবে গুঁটিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর কোনও সন্তানও নেই। একতাই এসে তাঁর হাত ধরেছেন আপন কন্যার মতো। তিনিই দেখভাল করেন প্রভাত রায়ের।