
দিঘায় মহাপ্রভূ জগন্নাথ মন্দির মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় অক্ষয়তৃতীয়ার শুভ দিনে। সেখানেই টলিতারকাদের সমাবেশ। টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে দেব, নচিকেতা চক্রবর্তী, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, পণ্ডিত দেবজ্যোতি বসু, সুবোধ সরকার, সৈকত মিত্র, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, লাভলি মৈত্র, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, অরিন্দম শীল, ইমন চক্রবর্তী, ভিভান ঘোষ সাক্ষী ছিলেন দিঘার জগন্নাথধামের দ্বারোদঘাটন পর্বে। যজ্ঞ, দ্বারোদঘাটন পর্ব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব নিয়ে দিঘা জমজমাট ।
দিঘার মন্দির হওয়ার পর্যটনের উন্নতি হবে , তবে এই মন্দিরের জন্য সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কোন লাভ হবে ? টেলিফোনে পাওয়া গেল অভিনেতা ভিভান ঘোষকে। তৃণমূল দলের সঙ্গে তিনি যুক্ত ২০১৯ সালের প্রচার পর্ব থেকে। ২০২১ সালে দেশ বাঁচাও গণ মঞ্চের সঙ্গে থেকেও কাজ করেন। বিভান এই মন্দির স্থাপন নিয়ে আশাবাদী, তিনি বলেন, ” দিঘার জগন্নাথ ধাম স্থাপত্য তৈরি হয়েছে, পুরির জগন্নাথ ধর্মের থেকে আয়তনে অনেক বড় যা দেখে মনে হল। বাংলার মানুষের জন্য গর্বের বিষয়, আর আমার মনে হয়, এই মন্দির প্রতিষ্ঠার ফলে আগামী দিনে দিঘার পর্যটনে যেমন লাভ হবে, তেমনই এই মন্দিরে ঘিরে নানা ব্যবসা, বানিজ্য হবে, কর্ম সংস্থান বাড়বে, আমরা পুরির মন্দিরের আশেপাশেও এই ব্যবসায়িক বিন্যাস দেখেছি, তাই দিঘাতেও তাই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পুরির মন্দিরে শ্যুট করার কোন অনুমতি নেই। তবে দিঘার জগন্নাথধামের মন্দিরে শ্যুট করা যাবে কিনা, এখনও জানা নেই, তবে সমস্ত রকম নিয়ম পালন করে যদি দিঘার জগন্নাথধামকে ক্যামেরা বন্দি করা যায়, তাহলে বাংলা সিনেমার পরিচালকরা খুশি হবেন। আমরা আশা করতেই পারি। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি। ”
তৃণমূল দলের সঙ্গে বহুদিন তিনি যুক্ত আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কি তিনি টিকিট পাচ্ছে? উত্তরে বিভান বলেন, ” আমি দলের হয়ে কাজ করেছি, আগামী দিনেও করব। কোনদিনও কিছু পাওয়ার আশা ছাড়াই কাজ করেছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবটা জানেন খবর রাখেন, কে কী কাজ করছেন বা করছেন না। তিনি যা বলবেন করব। শুধু বলতে পারি কাজ করতে ভয় পাই না। আমি নিজের অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক কাজ করতে ভালবাসি।”