The Bengal Files: ‘প্লিজ ছবিটা ব্যান করবেন না…’, পয়েন্ট তুলে তুলে মমতাকে ব্যাখ্যা দিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী

vivek agnihotri to mamata banerjee: তাঁরও ধারণা বাংলায় এই ছবি হয়তো নিষিদ্ধ হবে! তাই 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' নিয়ে এতদিন ধরে চলা নানা বিতর্ককে একপাশে রেখে, সিনেমাটি মুক্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিশেষ অনুরোধ করলেন পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী।

The Bengal Files: প্লিজ ছবিটা ব্যান করবেন না..., পয়েন্ট তুলে তুলে মমতাকে ব্যাখ্যা দিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী

|

Sep 02, 2025 | 5:30 PM

বাংলায় কি মুক্তি পাবে দ্য বেঙ্গল ফাইলস? নাকি নিষিদ্ধ হবে? এই ছবির টিজার, ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সিনেপ্রেমীদের মনে আশঙ্কার মেঘ জন্মেছিল। নান মহলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল ছবিটির মুক্তি নিয়ে। এমনকী, সোশাল মিডিয়াতেও নানা সময় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবির বাংলায় মুক্তি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছিল। এবার খোদ ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর কণ্ঠেও সেই আশঙ্কার সুর। তাঁরও ধারণা বাংলায় এই ছবি হয়তো নিষিদ্ধ হবে! তাই ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ নিয়ে এতদিন ধরে চলা নানা বিতর্ককে একপাশে রেখে, সিনেমাটি মুক্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিশেষ অনুরোধ করলেন পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী। সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো আপলোড করে বিবেক ব্যাখ্যা করলেন, কেন এই ছবি বাংলায় মুক্তি পাওয়া উচিত।

গত ১৬ আগস্ট কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাধা পড়ে। তারপর থেকেই গুঞ্জন রটে যায়, এই ছবির বাংলায় মুক্তি পাওয়া সহজ হবে না। এমনকী, পরিচালক বিবেকের দাবি, কলকাতাসহ গোটা বাংলার বহু সিনেমাহল মালিকরা আতঙ্কে রয়েছেন এবং সমস্য়াকে এড়াতে এই ছবি দেখাতে চাইছেন না। শুধু তাই নয়, বিবেক জানিয়েছেন, বাংলা থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বহু ভিত্তিহীন এফআইআর করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই বাংলার সুপ্রিমোর কাছে ছবিটি শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ করলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে কেন এই ছবি বাংলায় মুক্তি পাওয়া উচিত, তা নিয়ে মমতাকে বেশ কয়েকটি ব্য়াখ্যাও দিয়েছেন বিবেক।

কী বললেন বিবেক?

এই ভিডিয়োতে মমতাকে বিবেক জানালেন, প্রথমত, “আপনি ভারতীয় সংবিধান শপথ নিয়েছেন। ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখারও শপথ নিয়েছেন। এই ছবি ইতিমধ্যেই সিবিএফসি (সেন্সর বোর্ড) থেকে পাস সার্টিফিকেট পেয়েছে, এই সিবিএফসি সাংবিধানিক সংগঠন। সুতরাং এই ছবি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে মুক্তি পায়, তাঁর দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।” বিবেক এই ভিডিয়োতে আরও জানান, ভারতবর্ষ প্রথম থেকেই প্রতারিত। বহু বছর ধরে এই দেশের আত্মা, শিল্প, সাহিত্যকে বেঁধে রাখা হয়েছে। শাস্তি পেয়েছে গোটা দেশ। বিশেষ করে, ডিরেক্ট অ্য়াকশন প্ল্যান ও নোয়াখালিতে হিন্দু গণহত্যার মতো ঘটনা এই দেশকে বিভাজিত করেছে। এই ঘটনা না ঘটলে হয়তো দেশ ভাগ হত না। এই ঘটনা ভুলে গিয়েছে বহু মানুষ, হয়তো বা ধামাচাপা ওদেওয়া হয়েছে।

বিবেকের কথায়, “বাংলা শুধুই ব্যথার ইতিহাস বহন করে তা তো নয়, বাংলা সভ্যতার মুকুট। এই বাংলা এমন একটা প্রদেশ, যেখানে ভারতের নবজাগরণের শুরু। বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র বোস উঠে এসেছেন। এরাঁ সবাই বাংলার সন্তান। বাংলা গোটা দেশকে প্রাণ সঞ্চার করে। জাতীয়তাবাদের শিক্ষা দেয়। কিন্তু এটাও সত্যি, বাংলা এমন এক রাজ্য যা দু’বার বিভাজিত হয়েছে। একবার ১৯০৫ সালে, একবার ১৯৪৭ সালে। বাংলা যতটা আহুতি দিয়েছে, তা হয়তো আর কোনও রাজ্য দেয়নি। কিন্তু নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা কি এই ইতিহাস সম্পর্কে অবগত?”

বিবেকের কথায়, কৃষাঙ্গ বাচ্চারা তাঁদের দাসত্বের কথা জানে, জাপানের প্রতিটি বাচ্চা হিরোসিমা-নাগাসাকির কথা জানে। তাহলে বাংলার নতুন প্রজন্ম কেন বাংলার এই ব্যথার কথা জানবে না? সেটা জানাতে চাওয়াটাই কি আমার অপরাধ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করে বিবেক জানিয়েছেন, একজন ভারতীয়, একজন বাঙালির জায়গা থেকে ভেবে দেখুন, দেখবেন এই ছবিকে আপনি নিষিদ্ধ নয়, স্যালুট করবেন।