সোশ্যাল মিডিয়ায় ছয়লাপ একটি গুজবে। তা হল, অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যর বিবাহবিচ্ছেদ। অভিনেতার বিয়ে নাকি ভাঙতে চলেছে। তাঁর সঙ্গে নাকি ডিভোর্স হতে চলেছে মাইম অভিনেত্রী মধুরিমা গোস্বামীর। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করছেন এই নিয়ে। নেট পাড়ায় আলোচনার ঝড়। সত্যিই কি মধুরিমা-অনির্বাণের বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে। সত্যি জানতে, TV9 বাংলা যোগাযোগ করেছিল অনির্বাণের স্ত্রী মধুরিমা সঙ্গে।
অনির্বাণের সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। এই গুজবটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মধুরিমা। প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই চমকে উঠে মাইম অভিনেত্রী বলেন, “এখনও এসব নিয়ে এত আলোচনা চলছে। আমার তো ভেবেই হাসি পাচ্ছে।” তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞেস করা হয়, সত্যিই কি অনির্বাণের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হবে? প্রথমেই প্রচণ্ড হাসেন মধুরিমা এবং বলেন, “একেবারেই নয়। আমার কিন্তু প্রশ্নটা একেবারেই খারাপ লাগল না। বরং সত্যি যদি আমার আর অনির্বাণদার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটত, একটু খারাপ লাগত এই ফোনটা এলে। তবে বিষয়টা যেহেতু সত্যি নয়, আমি কিছু মনে করছি না বরং খোলাখুলি বলতে চাইছি যে পুরোটাই গুজব।”
তাহলে বিবাহবিচ্ছেদের রচনা কেন হল? মধুরিমা বলেছেন, “এটা যে কেন রটেছে বলতে পারব না। খালি এটুকু বলতে পারি বিষয়টা সত্যি নয়।” অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে মহিলারা অসম্ভব ভালোবাসেন। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে দেব-আবিরের মতোই তুখোড় মহিলা ফ্যান ফলোয়িং অনির্বাণের। মহিলাদের এত ভালবাসা কুড়াচ্ছেন অনির্বাণ। তা দেখে মধুরিমা বললেন, “আমাদের বিয়েটা ভেঙে গেলে অনেকেই খুশি হবেন। অনির্বাণদাকে বিয়ে করার পর থেকে যেভাবে অভিশাপ পাচ্ছি।”
‘অনির্বাণদা’। বিয়ের এতগুলো দিন সংসার করার পরও অনির্বাণকে ‘দাদা’ বলেই ডাকেন মধুরিমা। হাসি চেপে অভিনেত্রী বলেছেন, “১২ বছর ধরে আমার এবং অনির্বাণদার সম্পর্ক। অনেক ছোট বয়স থেকে তাঁকে আমি চিনি। দাদা বলাটা প্রথম থেকেই। তাই একেবারেই ছাড়তে পারিনি। এখনও মুখ থেকে দাদা শব্দটা বেরিয়ে আসে।”
অনির্বাণের সঙ্গে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন মধুরিমা। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ একেবারেই হচ্ছে না। অনির্বাণ কেমন স্বামী, সে সম্পর্কেও মুখ খুলেছেন মধুরিমা। সোজাসাপ্টটা বলেছেন, “একটাই বিয়ে করেছি এখনও পর্যন্ত। তাই ভালো স্বামী কাকে বলে, সেটা আমি জানি না। আদর্শ স্বামীর সংজ্ঞাটাও আমার জানা নেই। এটুকু বলতে পারি, আমার বাবা মাইম আর্টিস্ট নিরঞ্জন গোস্বামীকে মায়ের স্বামী হিসেবে দেখেছি। অনির্বাণদা ঠিক আমার বাবার মতোই স্বামী।”