স্নেহা সেনগুপ্ত
যে বিয়েটা নিয়ে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এবং মার্চের শুরু থেকেই নানা চর্চা তৈরি হয়–সেটি ৫৩ বছরের অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক এবং ২৬ বছরের অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের। ২৭ বছরের বয়সের ব্যবধানে বিয়ে করেছেন তাঁরা। কটাক্ষের বন্যা বয়ে গিয়েছে নেটজুড়ে। কাঞ্চন কীভাবে অমন রোগা-পাতলা চেহারা নিয়ে তিনটে বিয়ে করলেন, বয়সের এত্ত ফারাক–ইত্যাদি। শ্রীময়ীকে শুনতে হয়েছে তিনি নাকি ‘সুগার ড্যাডি’ পেয়েছেন! এই সুগার ড্য়াডি বিষয়টা কী? প্রায় বাবার বয়সি পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হলে সেটিকে সুগার ড্যাডি অ্যাফেয়ার হলা হয়। ‘সুগার ড্যাডি’কে নিয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটার ‘লাফটারসেন’ নিরঞ্জন মণ্ডল দুর্দান্ত কিছু ভিডিয়ো তৈরি করে পোস্ট করেছেন। সেখানে সুগার ড্যাডির বাংলা তর্জমাও তৈরি করেছেন নিরঞ্জন এবং নাম দিয়েছেন ‘মিষ্টি বাপি’…। নেট সার্ফেসে ঘোরাফেরা করা ইউজ়ারদের অনেকেই নিরঞ্জনের ‘মিষ্টি বাপি’ ব্যাপারটাও জেনে গিয়েছেন এতদিনে।
কিন্তু এত গৌরচন্দ্রিকা কেন? তার আসল কারণ, এক ২৫ বছর বয়সি অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী মুখ খুলেছেন ‘মিষ্টি বাপি’কে নিয়ে। নাচের রিয়্যালিটি শো থেকে উঠে এসেছেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে সিরিয়ালে অভিনয় করছেন। কিছুদিন আগেই সুপারস্টার জিত প্রযোজিত-অভিনীত ‘বুমেরাং’ ছবির শুটিংও শেষ করেছেন আয়েশা। সেই ছবিতে তাঁর এবং মাঝবয়সি অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্যর অনস্ক্রিন রোম্যান্স দেখানো হবে। প্রায় হাঁটুর বয়সি অভিনেত্রীর সঙ্গে এই প্রথম পর্দায় রোম্যান্স করবেন অম্বরীশ। এই অসম বয়সের প্রেম নিয়ে আয়েশা TV9 বাংলাকে বলেছেন, “আমার কিন্তু ব্যাপারটা ভালই লাগে। অম্বরীশদা আমার খুবই প্রিয় একজন কো-অ্যাক্টর।” এর আগে ‘পুন্যিপুকুর’ সিরিয়ালে অম্বরীশের কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেন আয়েশা। সেই আয়েশাকেই এবার দেখা যাচ্ছে অম্বরীশের প্রেমিকার চরিত্রে।
পর্দায় প্রায় বাবার বয়সির সঙ্গে রোম্যান্সে আপত্তি নেই আয়েশার, কিন্তু বাস্তবে যদি অনেক বয়স্ক কোনও প্রেমিক জোটে আয়েশার? অভিনেত্রী বলেন, “হলে হবে। আমার তাতে কোনওই আপত্তি নেই। বরং ভালই তো। আমার কিন্তু বড় বয়সি প্রেমিকই ভাল লাগে। সমবয়সি না। এতে অনেক সুবিধে আছে। বয়সে অনেকটা বড় হলে সেই সম্পর্কের মধ্যে স্নেহ ব্যাপারটা থাকে। একই বয়স হলে ঝগড়াঝাটি-মারামারি চলতেই থাকে। তাই কোনও বুড়োর সঙ্গে প্রেম করতে আমার আপত্তি নেই।”
পরিবারের খুবই আদরের মেয়ে আয়েশা। বাবা-মাকে ঘিরেই তাঁর জীবন। বিয়েটা নিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন। আয়েশার সংযোজন, “আমার বাবা-মা খুবই আশাবাদী আমার বিয়ে নিয়ে। আমি তাঁদের খুবই আদরের মেয়ে। আমার বাবার মতো স্বামী চাই। তাই মিষ্টি বাপিতেও আপত্তি নেই। কিন্তু আমার মায়ের আছে। ২৬-২৭ বছরের বড় প্রেমিক জোটালে মা মেনে নেবেন না। আমার প্রেমিকের সঙ্গে আমার ১০ বছরের বয়সের ফারাক থাকলেন সেটা আমার এবং আমার পরিবার–দু’জনের কাছেই গ্রহণযোগ্য় হবে।”