মন খুলে কথা বললেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এর মঞ্চে এসে বিয়ে পরবর্তী সময়কার কিছু কথা সঞ্চালিকা, তথা অভিনেত্রী (বর্তমানে হুগলীর সাংসদ) রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বলেছিলেন ইমন। জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষ নাকি সাংঘাতিক কঠিন একজন মানুষ। তাঁকে ঠিক করে খেতেই দেন না। এই কথা শুনে, সাদা মনে কাদা নিয়ে অনেকে হয়তো ভেবেই নেবেন, ইমনকে তাঁর স্বামী ঠিক মতো খেতে দিতে চান না। বিষয়টা কিন্তু ঠিক তা নয়। আসলে গায়িকার প্রতি ভীষণই যত্নশীল তাঁর স্বামী। স্ত্রী যাতে শারীরিকভাবে অসুস্থ না হয়ে যান, তাঁর যাতে গানের ক্ষতি না হয়, সেদিকে সারাটাক্ষণ নজর রাখেন নীলাঞ্জন। কীভাবে জানেন?
ইমনের স্বামী তাঁকে নিয়মিত যোগাভ্যাস করতে বলেন। স্বামীর কথা মতো রোজ সকালে উঠে যোগা করেন ইমন। অভিনেত্রী বলেছেন, “বেশি খেলেই আমাকে ভীষণ আওয়াজ দেয়। একচামচ ভাত বেশি নিলেই আমাকে বলে, আবার খাচ্ছ…।” নীলাঞ্জন পেশায় একজন সঙ্গীত পরিচালক। গান-বাজনা ভীষণ ভালবাসেন। নীলাঞ্জন নিজেই তদারকি করেন ইমন ঠিক মতো রেওয়াজ করছেন কি না। সারাদিনই এটা-সেটা গান শোনান তাঁকে। দার্জিলিং থেকে ঘুরে এসেও রাত ১১টা-১১.৩০টা পর্যন্ত রেওয়াজ করিয়েছেন। ইমন বলেছেন, “আমার স্বামীর কারণেই অনেক ডিসিপ্লিড হয়ে গিয়েছি। আড্ডা দিই বন্ধুদের সঙ্গে। সবই তো গান-বাজনা দুনিয়ার বন্ধুবান্ধব। জোরে কথা বললে বলেই আমাকে এসে বোঝায় যাতে আমি আস্তে কথা বলি। যাতে আমরা গলাটা না নষ্ট হয়ে যায়।”
দীর্ঘদিন সম্পর্কে থাকার পর নীলাঞ্জনকে বিয়ে করেছেন ইমন। তাঁদের ছোট এবং সুখী পরিবার। ইমন যে স্বামী-সোহাগি, তা অনেকবারই প্রমাণিত হয়েছে। বসন্ত উৎসবের আগে পায়ে চোট পেয়েছিলেন ইমন। সেই পা নিয়েই মঞ্চে পুরো জোশের সঙ্গে পারফর্ম করেছিলেন গায়িকা। নীলাঞ্জন কিন্তু সেই সময় ইমনের প্রচণ্ড যত্ন নিয়েছিলেন। কেবল একটি নিদর্শন নয়, রোজই তিনি যত্নে রাখে স্ত্রীকে…