রাগে ফুঁসতে-ফুঁসতে কথা থামিয়ে দিলেন প্রসেনজিতের গাড়িচালক, কেন?

Kanchan Mullick-Sreemoyee Controversy: দিনের শুরুতেই প্রসেনজিতের ব্যক্তিগত সহায়ক রাম সিং চাঁচাছোলা ভাষায় বিষয়টি নিয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে করেছিলেন TV9 বাংলার কাছে। 'স্যরজি'র (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ওই ডাকেই সম্বোধন করেন রাম) বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বুম্বাদার ড্রাইভারও বিষয়টি নিয়ে কার্যত রাগে ফুঁসছেন। যারপরনাই অপমানিত বোধ করেছেন রাম সিং-ও। ঘটনাচক্রে TV9 বাংলার প্রতিবেদকের সঙ্গে তখনই কথা হয় রামের। তিনি বলেন, "দিদি (প্রতিবেদককে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেছেন রাম) আরও একজন কথা বলতে চাইছেন আপনার সঙ্গে। তিনিও খুবই রেগে আছেন এই ঘটনায়। এবং অত্যন্ত বিরক্তও। তিনি স্যরজির গাড়ি চালান। আপনি কথা বলবেন?"

রাগে ফুঁসতে-ফুঁসতে কথা থামিয়ে দিলেন প্রসেনজিতের গাড়িচালক, কেন?

|

Mar 07, 2024 | 10:16 PM

 

স্নেহা সেনগুপ্ত

‘ইন্ডাস্ট্রি’কে নিয়ে এ দিক-ও দিক যান তিনি। তিনি ‘ইন্ডাস্ট্রি’র গাড়ির ড্রাইভার। ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ভরসাতেই গাড়িতে ওঠেন। চলে যান লম্বা-লম্বা সফরে। প্রসেনজিতের সেই সারথি আজ ভীষণভাবেই অপমানিত হয়েছেন। তাঁর মতো অগুণতি গাড়িচালক এবং সামগ্রিকভাবে গাড়ি চালক সম্প্রদায়কে সপাটে অপমান করেছে অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের তৃতীয় বিয়ের রিসেপশন ভেন্যুতে রাখা একটি নিষেধবার্তা। ৬ এপ্রিল, বুধবার ছিল কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের রিসেপশন পার্টি। মধ্য কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিট অঞ্চলে অবস্থিত ‘গ্য়ালেরিয়া ১৯১০’-এর ঐতিহ্যবাহী ভেন্যুতে ছিল ওই রিসেপশন পার্টি। গেটে ঢোকার মুখে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “Please! Press And Personal Securities And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted” (যার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, “প্লিজ়! সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ…”)

দিনের শুরুতেই প্রসেনজিতের ব্যক্তিগত সহায়ক রাম সিং চাঁচাছোলা ভাষায় বিষয়টি নিয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে করেছিলেন TV9 বাংলার কাছে। ‘স্যরজি’র (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ওই ডাকেই সম্বোধন করেন রাম) বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বুম্বাদার ড্রাইভারও বিষয়টি নিয়ে কার্যত রাগে ফুঁসছেন। যারপরনাই অপমানিত বোধ করেছেন রাম সিং-ও। ঘটনাচক্রে TV9 বাংলার প্রতিবেদকের সঙ্গে তখনই কথা হয় রামের। তিনি বলেন, “দিদি (প্রতিবেদককে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেছেন রাম) আরও একজন কথা বলতে চাইছেন আপনার সঙ্গে। তিনিও খুবই রেগে আছেন এই ঘটনায়। এবং অত্যন্ত বিরক্তও। তিনি স্যরজির গাড়ি চালান। আপনি কথা বলবেন?”

ফোনের ওপারে তখন ‘ইন্ডাস্ট্রি’র সারথি বাণীব্রত মুখোপাধ্য়ায়। যাঁকে আদর করে ‘বাবু’ বলে ডাকেন প্রসেনজিৎ। ‘বাবু’র ভিতরে তখন অভিমানের সাইক্লোন। টলিউড ইন্ডাস্ট্রিরই একজনের বিয়ের রিসেপশনে রাখা নিষেধবার্তায় ড্রাইভারদের ‘অপমান’-এর কথা স্মরণ করেই রক্ত গরম করে ফেললেন মেঘলা আবহাওয়ায় (ঘটনাচক্রে ৭ মার্চ কলকাতার আবহাওয়া ফুরফুরে)। বললেন, “এটা একদম ঠিক হয়নি দিদি (বাণীব্রতবাবুও প্রতিবেদককে ‘দিদি’ সম্বোধন করেছেন)। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে, এমনটা হতে পারে। এসব কী! এটা হবে কেন বলুন। কেন?” জানালেন অনেক বছর ধরে প্রসেনজিতের গাড়ি চালাচ্ছেন তিনি। কোনওদিনও একবারের জন্য অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শোনেননি, দেখেনওনি। রাগে ফুঁসতে-ফুঁসতে কথা থামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বলছিলেন, “আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। এটা তো আশা করা যায় না। একটা কথা বলতে চাই বারবার, আপনাদের মতো আমরাও তো মানুষ। দাদার (পড়ুন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়) সঙ্গে এত জায়গায় গিয়েছি আমরা। কোনওদিনও এমন অসম্মানিত হইনি। আমরা সব জায়গায় গিয়েছি। দাদা নিজেই বলেছেন, তোরা সব জায়গায় যাবি। ভাল করে খাওয়াদাওয়া করবি।”

বাণীব্রতবাবুর থেকে ফোনটা নিয়ে কথা বললেন রাম। ব্যঙ্গের ছলে বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে, ড্রাইভার এবং নিরাপত্তারক্ষীরা বেশি পরিমাণে খেয়ে নেবে। তাই হয়তো এমন কথা লিখেছেন তাঁরা। তা না হলে লেখার কারণটা কী?”