অসমের ছেলে ঋষি কৌশিক। প্রবাসি বাঙালি নন। তিনি অসমীয়াই। সেই ছেলেটি গুয়াহাটিতে অসমীয়া ভাষায় একটি ছবিতে কাজ করে চলে আসেন কলকাতায়। হয়ে ওঠেন ‘বাঙালি’ অভিনেতা। বাংলা ভাষায় অনর্গল কথা বলে যেতে পারেন তিনি। ‘একদিন প্রতিদিন’ থেকে শুরু করে ‘এখানে আকাশ নীল’, ‘ইষ্টিকুটুম’, ‘কুসুমদোলা’র মতো বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করেছেন ঋষি। বেশিরভাগ সিরিয়ালে খুব সিরিয়াস চরিত্রেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবং দেখা গিয়েছে ডাক্তার, সাংবাদিক কিংবা আইপিএস (পুলিশ) অফিসারের চরিত্রেই। এই মুহূর্তে তিনি হিন্দি সিরিয়াল ‘ঝনক’-এ এক দুর্দান্ত ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করছেন। সিরিয়ালের পর্দায় এই প্রথম ভিলেন সাজলেন তিনি। কিন্তু বাংলা সিরিয়াল থেকে কিছুদিনের বিরতি নিয়ে ঋষি চলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে।
কলকাতা, তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে বাংলাদেশের নাটক বেশ জনপ্রিয়। ৪০-৪৫ মিনিটের এই নাটকগুলি মূলত মৌলিক গল্প নির্ভরশীল। মজাদার, সিরিয়াস, সামাজিক, রোম্যান্টিক–সব ঘরানারই গল্প নির্মিত হয় বাংলাদেশের নাটকে। ঋষি সেরকমই বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে ফেলেছেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে তাঁকে একটা জিনিসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে। কী তা?
আবারও সেই ভাষা। অসম থেকে কলকাতায় এসে বাংলা ভাষাটাকে আয়ত্তে এনেছিলেন ঋষি। ফলে বাংলা ভাষা আগে থেকেই জানা ছিল তাঁর। TV9 বাংলাকে ঋষি বলেছেন, “জানেন, আমাকে অনেক বাঙালিই বলেছেন, আমি নাকি বাঙালিদের চেয়ে ভাল বাংলা বলতে পারি।” ফলে বাংলাদেশের নিজস্ব কায়দায় বলা বাংলাটাকেও আয়ত্তে আনতে হয়েছে তাঁকে। ঋষি বলেছেন, “ওভাবে বাংলা বলাটা ওদের নিজস্ব স্টাইল। ওভাবে কথা না বললে আমাকে ওখানকার মানুষ বলে মনেই হবে না। ফলে ওই বিশেষভাবে বলা ঢাকাইয়া বাংলাটাও আমাকে আয়ত্তে আনতে হয়েছে।” অভিনয়ের তাগিদে বারংবার ভাষা আয়ত্তে আনাকে ঋষি চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করেন। যে কারণে বাংলাদেশের নাটকেও তাঁকে সাবলীল মনে হয়েছে এবং কাজগুলো করতে তিনি বিশেষ উৎসাহও পেয়েছেন।