কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুকে ব্যথা উঠতেই তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। নানারকম বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন সন্ধ্যাদেবী। এই মুহূর্তে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে তাঁর। TV9 বাংলা ডিজিটাল যোগাযোগ করে বেসরকারী হাসপাতালের সঙ্গে। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “সন্ধ্যা রায়ের অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি স্টেবল আছেন। বুকে ব্যথা হয়েছিল তাঁর। নানা ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষায় যা জানা গিয়েছে, তাতে সব প্যারামিটার্সই ঠিক আছে। কিছু রিপোর্ট ডিউ আছে।”
৭৯ বছর বয়স হয়েছে সন্ধ্যাদেবীর। বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের অন্যতম অভিনেত্রী তিনি। ৯০-এর দশকেও তাঁর অভিনয় মনে রাখার মতো। ইদানিং আর অভিনয় করতেন না সন্ধ্যা। তাঁর সিনেমার পর্দায় আগমন ১৯৫৭ সালে। ‘মায়া মৃগয়া’, ‘গঙ্গা’, ‘কঠিন মায়া’, ‘রক্তপলাশ’, ‘পলাতক’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘বাঘিনী’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘নিমন্ত্রণ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। সন্ধ্যার খ্যাতি ছড়িয়েছে আরবসাগরের পাড়েও। ‘জানে আনজানে’, ‘আসলি-নকলি’, ‘ফুল কে ফুল’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা।
কেবল সিনেমায় নয়, সন্ধ্যা যোগদান করেন রাজনীতির ময়দানেও। ২০১৪ সালে মেদিনীপুর থেকে লড়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনে। তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন সন্ধ্যা রায়। বিপুল ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে রাজনীতির ময়দান থেকেও প্রত্যক্ষভাবে সরে এসেছিলেন সন্ধ্যা।