
সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক শমীক সিনহা বেশকিছু বছর পর আবার পুজোর আগে পুজোর গান নিয়ে হাজির। তাঁর দুটি গানের মধ্যে একটি ‘জিও বাঙালি’। ইতিমধ্যেই বহু শিল্পী তাঁদের স্যোশাল মিডিয়ায় এই গানের টিজার প্রচার করেছেন। এই বিষয়ে Tv9 বাংলার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গায়ক জানালেন, তিনি একটি সমাজ মাধ্যমের চ্যানেল আনছেন। সেখানেই তাঁর গানের দেখা যাবে। বহু বছর তিনি বিভিন্ন সিনেমা, ধারাবাহিক ও বিজ্ঞাপনের জন্য গান তৈরি করেছেন।
বহু শিল্পী তাঁর সুর ও কোথায় গান গেয়েছেন। এবার সেই সব না জানা কথার ঝাঁপি নিয়ে তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে হাজির হবেন। সঙ্গে তাঁর দুটি অ্যালবামের গান প্রকাশ করলেন। এই বিষয়ে তিনি বললেন, “পুজোর আগে মুক্তি পাচ্ছে, তাই পুজোর গান বলা যেতেই পারে, তবে বহুদিন ধরে পরিকল্পনা করছিলাম। এটাই ভাল সময় মনে হল। আর আমাদের ছোট বেলায় তো পুজো মানে অবশ্যই ছিল পুজোর গান। আমার একটি গান ‘জিও বাঙালি…’ বাঙালির খাদ্য, রসিকতা সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি এই গানের চ্যানেল। এখানেই আমাদের গানের জগতের নানা আজানা গল্প শোনাবো দর্শকদের। বহু বছর বহু গুণি মানুষদের সঙ্গে কাজ করেছি। তাঁর বিখ্যাত গান সবাই জানে , তবে এমন কিছু ভাল গান রয়েছে, যেমন শিলাজিতের অসাধারণ গান রয়েছে ‘কত রাত খুঁজছি তোমায়…’ এখান এই গান গুলোকেই মনে করাবো। সঙ্গে থাকবে জানা বহু গানের সৃষ্টির গল্প। আশা করি ভাল লাগবে দর্শকদের।”
তিনি আরও বলেন, “এত বছর যাঁদের নিয়ে কাজ করেছেন। যেমন রূপঙ্কর বাগচী, শ্রীকান্ত আচার্য, রাঘব এই গুনি মানুষদের সঙ্গে আড্ডা যেমন থাকবে, তেমনই বহু নতুন শিল্পীদের জন্য আমার এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছি। আমি যখন একটি এফ এম এ কাজ করতাম, বহু নতুন মৌলিক গানকে উৎসাহ দিয়েছি, তাই মৌলিক গান দর্শকদের কাছে পৌঁছেগেছে, আর তাই এখন গানের জগতের সকলেই আমার বন্ধু, তাঁরা এই গান আমার হয় প্রচার করছেন, কেবলমাত্র আমাকে ভালবেসে । নতুনদের কথা ভেবে আমার এই নতুন উদ্যোগ। আমরা দেখি প্রতি বছর গানের রিয়ালিটি শ্যো থেকে বহু শিল্পী উঠে আসে ,তাঁরা সহজেই পরিচিতি পায়, তবে কিছুদিন পর অনেকেই হারিয়ে যায়। কারণ তাঁরা নিজেদের গান সেইভাবে পায় না। তাঁদের জন্য আমার এই প্ল্যাটফর্ম।”