‘চেষ্টা করলেই সম্ভব’, কীভাবে এই কঠিন নেশা থেকে বেরিয়ে আসেন অজয়?

Oct 22, 2024 | 4:28 PM

Ajay Devgn: সাধারণের মনে প্রশ্নে জাগতেই পারে দীর্ঘ দিন ধরে এই সুপারস্টার যেভাবে একের পর এক হিট ছবি দিয়েছে তা নিঃসন্দেহে গর্বের, তবে তাঁর স্ট্রাগেল!  সত্যি কঠিন পরিস্থিতি দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। অজয়কে শুনতে হয়েছিল, তাঁর 'হেয়ার স্টাইল সেকেলে', তিনি তা বলদে না ফেললে টিকে থাকতে পারবেন না।

চেষ্টা করলেই সম্ভব, কীভাবে এই কঠিন নেশা থেকে বেরিয়ে আসেন অজয়?

Follow Us

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। ঠিক গুনে গুনে দিনে ১০০টা সিগারেটই প্রয়োজন ছিল অজয় দেবগণের। বি-টাউনে পা রাখার পর একাধিক কালো অধ্যায়ের সাক্ষী তিনি থেকেছেন। বাবা বিখ্যাত অ্যাকশন ডিরেক্টর হলেও নেপোটিজেমের কোনও সুযোগই তিনি পাননি। কখনও গায়ের রঙ বা চুলের স্টাইল, বারে বারে কাস্টিং কাউচের মুখোমুখি পড়তে হয়েছে তাঁকে। সাধারণের মনে প্রশ্নে জাগতেই পারে দীর্ঘ দিন ধরে এই সুপারস্টার যেভাবে একের পর এক হিট ছবি দিয়েছে তা নিঃসন্দেহে গর্বের, তবে তাঁর স্ট্রাগেল!  সত্যি কঠিন পরিস্থিতি দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। অজয়কে শুনতে হয়েছিল, তাঁর ‘হেয়ার স্টাইল সেকেলে’, তিনি তা বলদে না ফেললে টিকে থাকতে পারবেন না।

আর অজয় দেবগণও স্থির করে বসেন, তিনি এই লুক নিয়েই প্রত্যেকের মনে ঝড় তুলবেন। এভাবেই পরতে-পরতে লড়াই জড়িয়ে থাকা মানুষটি একটা সময় উপলব্ধি করেন, সিগারেট তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছে। দিনে একটা বা ১০ টা নয়, দিনে ১০০টা সিগারেট না হলে চলত না অজয় দেবগণের। প্রতিটা পদে পদে মুখে সিগারেট, কিন্তু একটা সময়ের পর তিনি চেয়েছিলেন ছেড়েদিতে। তবে খুব একটা সহজ ছিল না, ছবির পর্দায় চরিত্রের চাহিদার ক্ষেত্রে হোক বা অভ্যাসের কারণে, তিনি সিগারেটের থেকে দূরে থাকতে পারতেন না। একটা সময় তিনি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আর সহ্য করতে পারছিলেন না। কারণ তাঁর কাছে পরিবার সবার আগে, আর সেই কারণেই নিজেকে পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

অজয় দেবগণ মানেই ফ্যামিলি ম্যান। অজয় দেবগণ জানান, যখন তাঁর দুই সন্তান জন্ম নেয়, তখনই তিনি স্থির করেছিলেন একেবারে ছেড়ে দেবেন সিগারেট। কমিয়ে ফেলা নয়, স্থির করা মাত্রই রাতারাতি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। অজয় দেবগণের বদ-অভ্যাস নিয়ে কথা উঠলেই তিনি ভক্তদের সতর্ক করেন, শরীর নিয়ে সচেতনতার কথা বলেন, জানান, তিনি নিজে কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, তিনি নিজে জানেন, চেষ্টা করলেই সম্ভব, আর তাই যে কোনও অভ্যাস যা নিজেকে কষ্ট দিতে পারে তা ছেড়ে দেওয়াই উচিত।

Next Article